এফএনএস স্পোর্টস: কিলিয়ান এমবাপের শূন্যতা এক মুহূর্তের জন্যও বুঝতে দিলেন না লিওনেল মেসি ও নেইমার। তাদের পাশাপাশি নজরকাড়া ব্যাকহিলে জালের দেখা পেলেন সের্হিও রামোসও। দারুণ পারফরম্যান্সে নতুন মৌসুমে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসল পিএসজি। ইসরায়েলের তেল আবিবে ব্লুমফিল্ড স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ফরাসি সুপারে কাপে ৪-০ গোলে জিতেছে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা। পিএসজির কোচ হিসেবে ক্রিস্তফ গালতিয়ের শুরুটা এর চেয়ে বুঝি ভালো হতে পারত না। তার কোচিংয়ে এটাই দলটির প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। প্রতি মৌসুমের শুরুতে আগেরবারের লিগ ওয়ান ও ফরাসি কাপ বিজয়ীর মধ্যে হয়ে থাকে এক ম্যাচের এই শিরোপা লড়াই। ফরাসি সুপার কাপে পিএসজির এটি রেকর্ড ১১তম শিরোপা। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপে। তবে ম্যাচের শুরুর দিকেই দলকে এগিয়ে নেন মেসি। বিরতির ঠিক আগে অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। দ্বিতীয়ার্ধে রামোস ব্যবধান আরও বাড়ানোর পর শেষ দিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। লিগের গত আসরে দ্বিতীয়বারের দেখায় এই নঁতের মাঠে ৩-১ গোলে হেরে গিয়েছিল পিএসজি। তাদের গুঁড়িয়েই সেই ক্ষতে প্রলেপ দিল দলটি। পুরো ম্যাচে নেইমারের পারফরম্যান্স ছিল এককথায় দারুণ। প্রথম গোলটিতেও জড়িয়ে তার নাম। ২২তম মিনিটে মাঝমাঠের কাছ থেকে তার বাড়ানো থ্রু পাস মাঝপথে আটকানোর চেষ্টা করেও পারেননি ডিফেন্ডার নিকোলা পালোয়া। তার পা ছুঁয়ে বল যায় মেসির পায়ে। ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ এক ঝটকায় গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন তারকা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। বাঁ দিকে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বাঁকানো শট রক্ষণ প্রাচীরের ওপর দিয়ে গিয়ে পোস্ট ও ক্রসবার ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে পায়। ৫৭তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন রামোস। বাঁ দিক থেকে গোলে শট নেন পাবলো সারাবিয়া, ঝাঁপিয়ে কোনোমতে বলে আঙুল ছোঁয়ান গোলরক্ষক। দূরের পোস্টে ফাঁকায় ছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার, ঠান্ডা মাথায় ব্যাকহিলে পোস্ট ঘেঁষে বল লক্ষ্যে পাঠান তিনি। আর ৮২তম মিনিটে সফল স্পট কিকে বড় জয় নিশ্চিত করেন নেইমার। তিনি নিজেই ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় পিএসজি। গত মৌসুমে পিএসজি লিগ শিরোপা জিতলেও দলের অধারাবাহিক পারফরম্যান্সে খুশি ছিল না সমর্থকরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়ার পর দুয়ো শুনতে হয়েছিল মেসি ও নেইমারকে। বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে আসার পর প্রথম মৌসুমে মেসির পারফরম্যান্স ছিল না তার মানের। আর নেইমার তো আকাশছোঁয়ার প্রত্যাশা নিয়ে প্যারিসে আসার পর থেকেই নিজেকে মেলে ধরতে ভুগছেন। সেসব ব্যর্থতা ও হতাশা মুছে দেওয়ার অভিযানে নতুন মৌসুমে শুরুটা প্রত্যাশিতই হলো পিএসজির। গালতিয়ের হাত ধরে এবার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ।