বাবা মায়ের আশা, আকাঙ্খা, গর্ব সর্বপরি আদরের ভালবাসা আর মহব্বতের ধন তার সন্তান। এক কথায় বলা যায় মা বাবার নাড়ী ছেড়া ধন তার সন্তান। সন্তান যখন ছোট থাকে অর্থাৎ শিশু থাকে তখন নেই শিশু সন্তান নানান ধরনের ঝক্কি ঝামেলা তথা বিপদজনক পরিস্থিতিতে পড়ে। শিশুকে কোন ভাবেই একা একা থাকতে দেওয়া যাবে না। প্রতিজন পিতামাতার উচিৎ তার শিশু সন্তানকে চোখে চোখে রাখা অর্থাৎ চোখের আড়াল না করা। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে অহরহ। বিধায় পুকুর বা জলাশয় সাতার না জানা ৪/৫ বছরের শিশুদের জন্য চরম বিপদজনক। অনেক সময় দেখা যায় শিশু ঘরের উঠানে বা পুকুর সংলগ্ন এলাকায় খেলাধুলা করার সময় অবচেতন মনে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে মৃত্যু বরন করে। যে বাবা মায়ের শিশু সন্তান মৃত্যু বরন করে সেই বাবা মা কেবল অনুভব করতে সক্ষম হয় সন্তান হারানোর বেদনা বা ক্ষত কতটুকু মর্মান্তিক। পানির আগুন ও শিশুদের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ আর তাই আগুন হতে শিশুদের দুরে রাখতে হবে। শিশুদের খেলা করার জন্য, মন ভোলানোর জন্য অনেক সময় নানান ধরনের খেলনা দেওয়া হয়, এমনও দেখা গেছে শিশুরা রশি নিয়ে খেলা করছে, রশি অসাবধানতা বশতঃ গলায় দিয়ে ফাঁস লেগে মৃত্যু মুখে পতিত হয় এখানেই শেষ নয় শিশুদের হাতে কোন ভাবেই দিয়াশলাই ব্লেড, ছুরি, দাও, গ্যাস লাইট দেওয়া যাবে না। আমাদের শিশুরা কোন ভাবেই ভালমন্দ বুঝতে জানে না, কৌতুহল বশত কোন কোন সময়ে তারা চেয়ারে ও টেবিলে উঠে বসে এবং নাড়া চাড়া খেলা করতে করতে পড়ে আহত হয় বা বড় ধরনের দূর্ঘটনার শিকারে পরিনত হয়। আর তাই সর্বদা শিশুকে সুরক্ষাদান করতে হবে। শিশুর নিরাপত্তা সর্বাত্মক ভাবে গ্রহন করতে হবে। বাড়ীর পাশের ঝোপ ঝাড়ে যেন শিশুরা খেলা করতে না পারে সে বিষয়টি দেখতে হবে। সাপ, কুকুর, বিড়াল, শিয়াল যে কোন সময় আক্রমন করতে পারে। আজকের শিশু আগামী দিনের বাংলাদেশ তাই তাদের সুরক্ষা জরুরী।