শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি করলেন মডেল মেঘনা বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু রোববার আবার বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী খেলোয়াড় দেবহাটার ঘরে ঘরে ছাগল পালন বাণিজ্যিক ভাবে চলছে চাষ \ খামার দেখভালে এগিয়ে মা বোনেরা শ্যামনগরে পরীক্ষায় নকলের দায়ে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার দায়িত্বহীনতায় ১২ শিক্ষক অব্যাহতি মাহফিলের টাকা গ্রহণ করে বক্তা না আসায় আদালতে মামলা

শিশুর ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধে যা করবেন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩
9 simple natural tips to make your baby's skin glowing in Bengali

এফএনএস লাইফস্টাইল: শিশুর ত্বকের যতেœর ব্যাপারে মায়ের ভ‚মিকাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। মায়েরা যদি কিছুকিছু বিষয়ে সচেতন হন তবে অনেক চর্মরোগই প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর অনুলিখিত কয়েকটি বিষয় শিশুর বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধে নিঃসন্দেহে সহায়ক। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আবরার জাহিন। শিশুর পরিধেয় কাপড়-চোপড় অবশ্যই খসখসে, অমসৃণ হওয়া উচিত নয়, হতে হবে নরম ও মসৃণ। কাপড়টি সুতির হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ, ত্বকের জন্য সুতির কাপড়ই সবচেয়ে নিরাপদ। কাপড়টি বেশি আঁটসাঁট হওয়া উচিত নয়। কারণ আলো-বাতাস প্রবেশ করতে না পারলে ঘাম আটকে থাকে এবং বিভিন্ন চর্মরোগ সৃষ্টি হয়। তাই পোশাক-পরিচ্ছদ যতটা সম্ভব ঢিলাঢালা হওয়াই ভালো। আর পোশাক-পরিচ্ছদ সব সময় শীত-গ্রীষ্মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। ঘামাচি : সাধারণত গরমে বহু শিশুর ঘর্মনালির মুখ বন্ধ হয়ে ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে জায়গাটা একটু ঠাÐা, পরিষ্কার রাখলেই এ সমস্যার সুরাহা পাওয়া যায়। ন্যাপি র্যাশ : শিশুকে এ সময় ন্যাপি কম পরিয়ে জায়গাটা খোলামেলা রাখা উচিত। ইচ্ছে করলে একটু অয়েন্টমেন্টও সেই জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে। সেবোরিক ডার্মাটাইটিস : মাথার খুশকি থেকেই সাধারণত ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়। ফলে এ সমস্যায় ভালো করে শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। রুবেলা ইনফেকশন : গর্ভবতী মায়ের যদি রুবেলা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে সদ্যোজাত শিশুরও অনেক সময় এ ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। এতে স্কিনে শুধু ছোট ছোট র্যাশ দেখা দেওয়াই নয়, সেই সঙ্গে শিশুর বমি, শরীর খারাপ, শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্ক্যাবিজ : ত্বকের চুলকানির এই রোগ খুবই ছোঁয়াচে। এ ক্ষেত্রে শিশুর মুখ বাদ দিয়ে তার শরীরের সর্বাঙ্গে টানা একদিন অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে রাখলেই হবে না, শিশুর পাশাপাশি বাড়ির সব সদস্যকে সেই অয়েন্টমেন্ট লাগাতে হবে, এমনকি শিশুর পরিচর্যাকারীকেও। অ্যালার্জিক আর্টিকেরিয়া : চকোলেট, টমেটো সস, চিংড়ি, বেগুনসহ বেশ কিছু খাবার থেকে ত্বকে লাল, চাকা চাকা দাগ দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই সেই খাবার বন্ধ করে ওষুধ দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হয়। পরিত্রাণের উপায় : শিশুকে প্রতিদিনই গোসল করানো ভালো। তবে সাবান ও শ্যাম্পু প্রতিদিন ব্যবহার না করলেও চলে। পানি যেন অবশ্যই পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো-গোসলের শেষে নরম শুকনো সুতি কাপড় দিয়ে ভালোভাবে পানি মুছে ফেলতে হবে। যাতে কোনো স্থানে, বিশেষ করে শরীরের ভাঁজগুলোতে পানি লেগে না থাকে। কারণ, এ থেকে ছত্রাক জাতীয় জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। শিশুর কাপড়-চোপড় সাবান দিয়ে ধোওয়ার পর পরিষ্কার পানিতে বারবার চুবিয়ে সম্পূর্ণ সাবানমুক্ত করে শুকানো উচিত। কারণ, সাবানের ক্ষারযুক্ত শুকনো কড়কড়ে কাপড় শিশুর নরম ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। শিশুরা হাত-পা বেশি নাড়াচাড়া করে এবং হাত মুখে দেয়, তাই নখ কেটে ছোট রাখতে হবে। যাতে নিজের মুখে নিজে আঘাত না পায় এবং রোগ-জীবাণু নখের মাধ্যমে মুখে না যায়। শিশুদের ত্বকে অ্যান্টিসেপটিক এবং কসমেটিকস জাতীয় কোনো মলম যখন তখন না লাগানোই ভালো। কারণ, এতে শিশুদের নরম ত্বকে অনেক সময় এগুলো সহ্য হয় না এবং সমস্যা সৃষ্টি হয়। ত্বকে আঘাত পেতে পারে এ রকম খেলনা বা ব্যবহার্য জিনিসপত্র সব সময় শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা উচিত। কাদা মাটি ধুলোবালি ও কড়া রোদ থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। মশা, মাছি, পোকা-মাকড়, পিঁপড়া ইত্যাদি যেন শিশুকে কামড়াতে না পারে সে দিকে সর্বদা লক্ষ রাখুন। কারণ এ থেকে হঠাৎ মারাত্মক অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন হতে পারে। বাড়িতে পোষা কুকুর-বিড়াল না রাখাই ভালো। কারণ, এদের শরীর থেকে বেশ কিছু চর্মরোগের জীবাণু সংক্রমণ হয়ে থাকে। যা শিশুকে সহজেই আক্রান্ত করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com