তীব্র শীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়া জনজীবনে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরতে শুরু করেছে। আর জনজীবনে স্বস্তি ফেরার মোক্ষম কারন শীতের প্রভাব কমে যাওয়া। গতকাল সকালে অন্যদিনের ন্যায় হীমশীতল ঠান্ডা বাতাস না প্রবাহিত হয়ে স্বাভাবিক অবস্থান বিরাজ করতে থাকে। সন্ধ্যায় অন্যদিন গুলো অপেক্ষা শীত কম। গত কয়েক দিন যাবৎ তীব্র শৈত্য প্রবাহে দৃশ্যতঃ জনজীবন বিপন্ন এবং বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। জন সাধারন তীব্র শীত কষ্টে এতটুকু কাহিল হয়ে পড়ে যে, বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে সাহস হারিয়েছিল এমনকি প্রয়োজনেও ঘরের বাইরে বের হতে ইতস্ত করছিল, অসহায় হতদরিদ্র দুঃস্থ মানবকুল গরম কাপড়ের অভাবে বিশেষ কষ্ট ভোগ করেছে। উৎপাদনে বিশেষ করে কৃষি উৎপাদনে শীত বিরুপ প্রভাব বিস্তর করে। সবজি ক্ষেত হলুদাভাব হয়ে ওঠে। হাটবাজার গুলোতে জনসাধারনের উপস্থিতি ছিল যৎসামান্য। দিন আনা দিন খাওয়া অর্থাৎ কায়িক শ্রমিক শ্রেনি শীত কষ্টে মাঠে ঘাটে কাজ করতে না পেরে আর্থিক সংকটে ভোগে। গতকাল হতে শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় জনজীবনে বিশেষ খুশির প্রভাব লক্ষনীয়, শৈত্য প্রবাহের কল্যানে দেশের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ছন্দ পতন ঘটে। সড়কে সড়কে দূর্ঘটনা ছিল বিশেষ ভাবে লক্ষনীয়, গত কয়েক দিনের শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে সড়ক দূর্ঘটনায় অন্তত ৮/১০ জন মানব সন্তানের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময় গুলোতে শীতের প্রকোপ ও তীব্রতা ছিল সর্বাধিক। নিকট অতীতে সাতক্ষীরার এমন শীতের প্রকোপ দেখা যাইনি। শীতের তীব্রতার সাথে বিশেষ সম্পর্ক খেজুরের রসের। এই সময় গুলোতে শীত এমনই প্রভাব সৃষ্টি করেছিল যে গাছিরা খেজুর গাছ কাটতে পারেনি, শীতের কারনে গাছে উঠতে পারছে না। সব কিছুর শেষ শীতের প্রকোপ হ্রাস পাচ্ছে জনজীবন আবারও স্বস্তি এবং মুখরিত হবে, উৎপাদনে গতি ফিরবে।