বাংলাদেশের চির পরিচিত ছয় ঋতুর মধ্যে শীত অন্যতম আমাদের দেশের এই শীত ঋতুকে দৃশ্যতঃ পরিবর্তন এবং পরিবর্ধনের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শীতের সময় গুলোতে গাছে গাছে নতুন পাতা গজায় আবার গাছ হতে পুরাতন পাতা ঝরে পড়ে। প্রকৃতিতে বিশেষ ধরনের পরিবর্তন এবং জনজীবনে অতিমাত্রায় পরিবর্তন দেখা যায়। শীতের দিনগুলোতে শীতের কারনে জনসাধারন শীত যন্ত্রণা হতে পরিত্রান পেতে গরম জামা কাপড় পরিধান করে থাকে। এক কথায় শীত নিবারনের পদ্ধতি, প্রক্রিয়া আছে জনসাধারন তার সবগুলোই ব্যবহার করে। শীতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ঘন কুয়াশা আর শিশির বিন্দু, শীতের দিনগুলোতে কোন কোন সময়ে প্রকৃতি ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় বিশেষ করে রাত হতে শুরু হওয়া উক্ত কুয়াশা দিনের সূর্যকে হারিয়ে দিয়ে কোন কোন সময় দুপুর পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় গত দুই তিন দিন শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকারনে জনসাধারনের মাঝে শীত প্রস্তুতি মোকাবিলায় তোড়জোড় শুরু হয়েছে। শহরের ফুটপথ হতে শুরু করে বড় বড় বিপনী কেন্দ্রগুলোতে জনসাধারনের শীত বস্ত্র সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে। অবশ্য অপেক্ষাকৃত কম আয়ের মানুষগুলোর জন্য একমাত্র ভরসা ফুটপথ আর তাই ফুটপথের টং দোকান গুলোতে গরম কাপড় সংগ্রহের কমতি নেই। সাতক্ষীরার ক্ষেতে ক্ষেতে সরিষা ফুলের মন মাতানো, চোখ জুড়ানো উৎসবের বহতার শেষ নেই। গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহে মহা ব্যস্ত সময় অতিক্রম করে চলেছে। এই জেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য খেজুরের রস, একদা বলা হতো সাতক্ষীরার যশ, খেজুরের রস, কিন্তু বাস্তবতা হলো সা¤প্রতিক বছর গুলোতে সাতক্ষীরার খেজুর গাছের উপস্থিতি মারাত্মক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় পূর্বের ন্যায় খেজুরের রস উৎপাদন হচ্ছে না। শীতের এই সময় গুলোতে অসহায়, দুঃস্থ, হতদরিদ্রদের শীত কাপড় দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই।