দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ তীব্র শীত, শীতের ভয়াবহতা আর প্রকোপ থামচে না, তো থামছে না। সারা দেশের চিত্র একই। বলা যায় শীতে কাপছে পুরো ধেশ। কেবল শীতই শেষ কথা নয়, বইছে কনকনে হীমেল হাওয়া, জুজথবু জন জীবন প্রকৃতি ও যেন কস্ট পাচ্ছে। শীতের দাপটে জনজীবন যখন কাহিল সেই মুহুর্তে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শীতের চোখ রাঙানিতে বিপর্যস্ত জনজীবনে নেমে এসেছে ছন্দপতন। গত তিন দিন পূর্বেও ছিল শীতের সাথে বৃষ্টি দুই দিন কিছুটা সূর্যের আলোর তেজ থাকলেও তাপমাত্রা সহনীয় ছিল না। গতকাল সাতক্ষীরার জনজীবন অত্যন্ত বেকায়দায় ছিল, অপ্রতাশিত বৃষ্টির কাছে নতজানু হয়ে এক ধনের অসহায়ত্বের খাচায় বন্দী হয়ে পড়ে। শীতের কল্যানে ঘর হতে বের হওয়া দুস্কর নেহায়েৎ প্রযোজনে ঘরের বাইরে যাওয়া মানুষগুলো বৃষ্টির কাছে পরাজিত হয়ে ঘরবন্দী থেকেছে, অতি প্রয়োজনে শীত, হীমেল হাওয়া আর বৃষ্টিকে সঙ্গী করে কাঁপতে কাঁপতে বাইরে বের হয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরেছে। সূযের্য়র দেখা নেই, কনকনে বাতাস, কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতি আর তাই দেখা গেছে খড়কুটা কাগজ একত্রে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার প্রচেষ্টা এক সময় গ্রামের শীত নিবারনে দলবদ্ধ হয়ে বসে আগুন জ্বালিয়ে শীত কষ্ট নিবারনের সেই পুরাতন ধারায় কেবল গ্রাম নয় শহরও ফিরেছে। গতকাল সাতক্ষীরা শহরের অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছে এই প্রতিবেদক। শীতে চরম আর অসহনীয় কস্টে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি তাদের জীবন জীবিকায় আঘাত করেই চলেছে। কাজ জোটেনি এবং কাজ করার সুযোগ ও পাইনি তাই ধার দেনা করে দিন পার করছে অনেকে। শহরের ভ্যান চালক মুজিবর রহমান এই প্রতিবেদক কে জানায় শীতের কারনে কয়েকদিন যাবৎ যাত্রী নেই তারপর আজ দিন ব্যাপী বৃষ্টির কারনে যাত্রী নেই। সারাদিনে এক কেজি চালের টাকা রোজগার করতে পারিনি। শহরের ভ্রাম্যমান দোকান গুলোর অধিকাংশ বন্ধ ছিল, দুই একটা খোলা থাকলেও খরিদ্দার নেই। সবজি বাজারেও একই চিত্র। সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের যাত্রী বাহি যানবাহন গুলোতে যাত্রী পরিপূর্ণ থাকায় নিত্য দিনের চিত্র গতকাল ছিল অনুপস্থিত। ইজিবাইক, মহেন্দ্র সহ অপরাপর যান চালকরা অলস আর চিন্তাময় সময় অতিবাহিত করেছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে থাকা মাটি কাদায় পরিনত হয়ে মোটর সাইকেল চালকরা নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কে পড়েছে। তীব্রশীত আর বৃষ্টি কৃষি উৎপাদনে ছন্দপতন ঘটিয়েছে। বীজতলা শীতের প্রকোপে ও কুয়াশা হলুদাভাব হয়েছে। সাতক্ষীরার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এক ধরনের অচলাবস্থায় নিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর খুব বেশী ভাল খবর দিচ্ছে না পুরো জানুয়ারী মাস পর্যন্ত শীত থাকার আভাস দিয়েছে। শীতের কারনে শীত বাহিত রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা নানান ধরনের শীতবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সর্বাপেক্ষা কষ্টে আছে হত দরিদ্ররা দিনে কাজ পাচ্ছে না রাতে শীত যন্ত্রণায় কাতর হচ্ছে।