আসি আসি করে শীত এসেছে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। আবহমানকাল যাবৎ আমাদের দেশের জনসাধারন শীত, গ্রীষ্ম, শরৎ, হেমন্ত, বসন্ত, বর্ষা ঋতুর সাথে বিশেষ ভাবে পরিচিত। আমাদের জন সাধারনের উলেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ অন্য চারটি ঋতুর সাথে যতখানি না পরিচিত সে অপেক্ষা অধিকতর পরিচিত শীত ও বর্ষা অবশ্য গ্রীষ্ম ঋতু ও পরিচিত। বর্তমান শীত সমাগত অবশ্য শীত তার চিরচারিত রুপে এখনও পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে নিজেকে বিলিয়ে দেইনি। শীতের আগমনী বার্তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। আমাদের দেমের শীত ঋতু দৃশ্যতঃ পরিবর্তন আর পরিবর্ধনের ছোয়া আনায়ন করে। শীতে তাই সর্বত্র পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহীত হতে থাকে। শীতে নতুন পাতা গজায়। পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহীত হতে থাকে। শীতে নতুনপাতা গজায়। সবুজের সমারোহ দিকে দিকে বিস্তৃত হতে দেখা যায়। শীত মানেই সুভাষিত কিন্তু বাস্তবতা হলো শীতের তীব্রতা তথা অতি শীতে জনজীবনে নেমে আসে এক ধরনের অস্থিরতা। দিকে দিকে শীতের প্রভাব দেশবাসিকে জানান দিচ্ছে শীত প্রস্তুতি। প্রকৃতিতে ইতিমধ্যে শিশির বিন্দু আর কুয়াশার চাদর মিলছে। সর্বত্র শীতের আগমনের বার্তা। শীতে যেমন খেজুরের রস আর নানান ধরনের বাহারী সবজির উপস্থিতি দেখা যায়। শীতে অতিথি আপ্যায়নের সুভাষ ছড়াতে থাকে। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে শীতে নানান ধরনের পিঠা পায়েশের উপস্থিতি গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়। শীতে উৎসব, উচ্ছাসের আলোক বিচ্ছুরন যেমন দেখা যায় অনুরুপ ভাবে শীতের তীব্রতা আর শীতকষ্ট লাঘবে অসহায় হত দরিদ্র, দুঃস্থ জনজীবনের জন্য অপেক্ষা করে এক দুঃসময়। সেই দুঃসময় গুলোতে পরাজিত করনে অবশ্যই গরীবদের জন্য শীত বস্ত্রের উপস্থিতির বিকল্প নেই। আগামীতে জোরে সোরে শীত নামতে চলেছে আর তাই সমাজের বিত্তবানদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। শীত যন্ত্রনা লাঘবের জন্য গরীব ও অসহায়দের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে যেতে হবে কারন শীত কষ্ট কোন অবস্থাতেই সহজ নয়। আমরা শীতার্থদের পাশে দাড়াই।