মোঃ ফসিয়ার রহমান \ “পাইকগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় শুভ’র মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে পিতা গোলাম রব্বানী আদালতে মামলা করে। এঘটনায় মৃত্যুর ৪ মাস ৯ দিন পর শুভর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপায়ন দেব ও পাইকগাছা থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন। উলেখ্য গত ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাইকগাছার গজালিয়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে শুভ উপজেলার চারাবট তলা নামক স্থানে ট্রাক চাপায় গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়দের সহযোগীতা ও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুলনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে দীার্ঘ সাড়ে ১০ মাস চিকিৎসা শেষে গত ২১ সালের ৭ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে শুভ’র পিতা গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর ট্রাক চালক আনিচুর রহমান ও তার স্ত্রী শিরিনা আক্তারকে আসামী করে পাইকগাছা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। আদালত ২ ডিসেম্বর শুনানী শেষে মামলটি আমলে নিয়ে এজাহার গ্রহণের জন্য পাইকগাছা থানাকে নির্দেশ দেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারী বাদী পক্ষের আইনজীবী শুভ’র লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত লাশ উত্তোলন পূর্বক সুরতহাল প্রতিবেদন প্রদানের আদেশ প্রদান করেন। মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক তাকবির হোসেন জানান, একজন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগ চেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিকট আবেদন করলে বুধবার সকালে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।