এফএনএস স্পোর্টস: তিনি ফর্মে আছেন। বিপিএলেরর এবারের আসরেই রানের নহর বইয়ে দিয়েছেন। চার-ছক্কায় মাঠ মাতিয়েছেন। দল জেতানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন গোটা চারেক। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেয়েও নিজেকে চিনিয়েছেন এই তরুণ ব্যাটার। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক আসর প্রিমিয়ার লিগেও সাফল্যের রথ সচল তৌহিদ হৃদয়ের। শেখ জামালের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দল জেতানো ব্যাটিং নৈপুণ্য উপহার দিলেন এ ইনফর্ম মিডল অর্ডার। গতকাল বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নবাগত ঢাকা লেপার্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলে ১৮০.০০ স্ট্রাইকরেটে ৩০ বলে ৫৪ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে শেখ জামালকে ৮ উইকেটে জিতিয়েছেন তৌহিদ। চার নম্বরে নামা তৌহিদ হৃদয়ের ম্যাচ জেতানো ফিফটির সাথে টপ অর্ডার সৈকত আলীর সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের জয়ের অন্যতম রূপকার হলেন ওয়ান ডাউনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ওপেনার সাইফ হাসান মাত্র ৮ রানে ফিরলেও অপর ওপেনার সৈকত আলী ৫৬ বলে ৬৩ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন। সৈকত আউট হওয়ার পর তিন নম্বরে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বি একদিক আগলে রাখেন। তার সঙ্গে জুটি গড়ে হাত খুলে মারতে থাকেন তৌহিদ হৃদয়। তার ৫৪ রানের হার না মানা ইনিংসের ৪০ রানই আসে চার (৭টি) ও ছক্কা (২ টি) থেকে। ফজলে রাব্বি ৪১ (৭৯ বলে) রানে অপরাজিত থেকে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন এবং দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। তাতেই ঢাকা লেপার্ডের সব উইকেটে গড়া ১৬৯ রান টপকে মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে ১১৭ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। এর আগে বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (৩/৩১) আর ভারতীয় রিক্রুট পারভেজ রাসুলের (৩/২৩) দুর্দান্ত বোলিয়ের মুখে ১৬৯ রানে অলআউট হয় ঢাকা লেপার্ড। সর্বোচ্চ ৪১ রানে আসে ওপেনার পিনাক ঘোষের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া মইন খান করেন ৪৯ বলে ৪০ রান।