এফএনএস: ভারতকে রেলপথ ট্রানজিট দেওয়ার সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে বিক্রি করে না। যারা বিক্রির কথা বলে তারা একাত্তর সালে পাকিস্তানের দালালি করেছিল। সাম্প্রতিক নয়াদিল্লি সফর নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ভারতকে রেলপথ ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেল যোগাযোগ চালুর সমালোচনা হচ্ছে কেন? জবাবে প্রশ্নকর্তা বলেন, বলা হচ্ছে ভারতের কাছে বাংলাদেশের বিক্রির ষড়যন্ত্র চলছে। যারা অপপ্রচার চালায় এটা তাদের মুখরোচক গল্প। শেখ হাসিনা তখন বলেন, আমার একটা প্রশ্ন আছে। বিক্রির ওজনটা কীভাবে করা হয়েছে? কোনো কিছু বিক্রি হলে তো ওজন মেপে হয়, না? এখন তো ইলেকট্রনিক মেশিন আছে। আগে দাঁড়িপাল্লায় মাপা হতো। তো কীসে মেপে বিক্রি হচ্ছে? আর বিক্রিটা হয় কীভাবে? তিনি বলেন, যারা বলে বিক্রি হয়ে যাবে তাদের মাথাই ভারতের কাছে বিক্রি করা। সামরিক শাসক জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ওপর দিয়ে ভারতবিরোধী কথা বলেছিল, আর ভেতর দিয়ে তাদের পা ধরে বসে ছিল। এগুলো আমাদের নিজের দেখা ও জানা। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ। যত ছোট হোক এটা আমাদের সার্বভৌম দেশ। সেই সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও স্বকীয়তা বজায় রেখে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে কাজ করছি। এই যে আমরা সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা খুলে দিলাম, তাতে সবচেয়ে বেশি লাভবান আমাদের দেশের মানুষ। তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র আরও উন্মুক্ত হবে। শেখ হাসিনা দেশকে বিক্রি করে না। কারণ আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে তারা একাত্তর সালে পাকিস্তানের দালালি করেছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিট দিলে ক্ষতিটা কী? রেল যেগুলো বন্ধ ছিল তা আমরা আস্তে আস্তে খুলে দিয়েছি। যাতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হচ্ছে। ওই অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হচ্ছে, তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে। যে সমস্ত জিনিস আমাদের দেশে নেই তা আনার সুযোগ হচ্ছে। অর্থনীতিতে এটা সুবিধা হচ্ছে। আমরা কি চারদিকে দরজা বন্ধ করে বসে থাকব? সেটা হয় না। শেখ হাসিনা বলেন, ইউরোপের দিকে তাকান, সেখানে কোনো বর্ডারই নেই, তাই বলে একটা দেশ আরেকটা দেশের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে? একসময় সেখানে নো-ম্যানস ল্যান্ড ছিল। এখন কিন্তু সেসব কিচ্ছু নেই। এখন সেসব উঠে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখব? দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন সব থেকে বেশি প্রয়োজন। এদিকে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উন্মুক্ত বিতর্কে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ওনাকে জেলাস (ঈর্ষা) করার কী আছে? সে আসুক না, মাঠে আসুক। চলুক আমার সঙ্গে। আমেরিকায় ডিবেট হয় না, আসুক, কথা বলব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা কারও সঙ্গে জেলাসি করে না। শেখ হাসিনা জাতির পিতার মেয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। অন্তত এই জায়গাটায় কেউ আসতে পারবে না। আর সেটাই আমার গর্ব। প্রধানমন্ত্রী তো একটা সাময়িক ব্যাপার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশও বেচি না, দেশের স্বার্থও বেচি না। আমি সব সময় দেশের স্বার্থ রক্ষা করে চলি। তার জন্য আমি একবার ক্ষমতায় আসতে পারিনি, তাতে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। তিনি বলেন, আমার দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আমার দেশের মানুষের মাথা যেন উঁচু থাকে, সব সময় সেটাই কাজ। আমি এর-ওর কাছে ধরনা দিয়ে বেড়াই না। নোবেল পুরস্কারের জন্য কোনো আকাক্সক্ষা নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আবার অনেকে লিখেছে নোবেল প্রাইজের জন্য নাকি তার সঙ্গে আমার… আমার সঙ্গে কারো দ্বন্দ্ব নেই। ওই নোবেল প্রাইজের জন্য আমার কোনো আকাক্সক্ষাও নেই। আর আমার লবিস্ট রাখার মতো টাকাও নেই, পয়সাও নাই। আর আমি কখনো এটা চাইনি। তিনি বলেন, হ্যাঁ, পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য শুধু দেশে-বিদেশে অনেকে লিখেছেন, অনেক নোবেল লরিয়েটও আমার জন্য লিখেছেন। কই আমি তো কখনো তদবির করতে যাইনি, কারো কাছে বলতেও যাইনি। কী পেলাম, না পেলাম ওগুলো আমার মাথার মধ্যেও নেই। আর যিনি অর্থনীতি নিয়ে কাজ করলেন, ব্যাংকের একজন এমডি, তিনি যখন একটা নোবেল প্রাইজ পান, তার সঙ্গে কনটেস্ট করতে যাব কেন? শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি আমি করেছি। পৃথিবীতে যত শান্তি চুক্তি হয়েছে খুঁজে বের করেন, শান্তি চুক্তি হয়েছে কিন্তু কয়টা অস্ত্রধারী আত্মসমর্পণ করেছে। আমি পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু শান্তি চুক্তি করিনি, এক হাজার ৮০০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার, তারা আমার কাছে অস্ত্র সারেন্ডার করেছে। আমি তাদের সকলকে সামাজিকভাবে, আর্থিকভাবে সাবলম্বী করেছি। ২৪ হাজার শরণার্থী শিবির ছিল ভারতে, তাদের সকলকে ফিরিয়ে এনেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়ার ফলে আজকে সেখানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এর আগে কী অবস্থা ছিল? শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম কতজন যেতে পারতেন। এখানে বিদেশে যদি কেউ আমাদের প্রস্তাব দেয়, তো কই আমরা তো ছুটে যাইনি কারো কাছে। আমার কাছে অনেকে এসেছেন, আমি বলেছি, না আমার এই সমস্ত পুরস্কারের দরকার নেই। শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেখেছি, এই পুরস্কার আন্তর্জাতিকভাবে যারা পান, এখানে তাদের কতটুকু অবদান সেটা না, এখানে আলাদা একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। কাজেই ওর মধ্যে আমার কোনো আকাক্সক্ষা নেই। আর বলে দিল, ওটা নিয়ে আমি নাকি ওনাকে জেলাস (ঈর্ষা) করি। ড. ইউনূসকে সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছেন আমার হাত থেকে। ওয়াশিংটনে তার মাইক্রো ক্রেডিটে কেউ আসতে চায় না, আমি গিয়েছি হিলারি ক্লিনটন এসেছেন, কুইন সোফি এসেছেন। আমরা তাকে খুবই প্রমোট করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, উপকারীরে বাঘে খাক, যাতে উপকারটা শিকার করতে না হয়। এটাই তো বাস্তবতা। ওনার পয়সা আছে, উনি লেখাচ্ছেন। কত নোবেল লরিয়েটসহ তাদের যে বিবৃতিটা, এই বিবৃতিটা কী বিবৃতি। এটাতো বিজ্ঞাপন। তিনি যদি এতই পপুলার হন, তার বিজ্ঞাপন দিয়ে এতজনের নাম দিতে হবে কেন? তার জন্য সারা পৃথিবী ঝাঁপিয়ে পড়বে। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলা করছে তার শ্রমিকরা। যখন দাবি পেশ করেছে, প্রমোশন চেয়েছে তাদের চাকরিচ্যুত করেছেন। তারা সবাই মামলা করে দিয়েছে। লেবার কোর্টের মামলায় শাস্তি পেয়েছেন, লেবারদের কি কোনো অধিকার নেই! শেখ হাসিনা বলেন, যারা এত লেবার নিয়ে কথা বলেন, মানবাধিকারের কথা বলেন, তারা কোথায় এখন, তারা চুপ কেন? তারা কি এই লেবারদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, দাঁড়াননি। লেবারদের ন্যায্য পাওনা একজনে মেরে খাচ্ছেন, চুরি করে খাচ্ছেন, সেটা বলেছেন কখনো? বলেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর আমেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপ, ইংল্যান্ড, কেউ যদি ট্যাক্স ফাঁকি দেয় সাথে সাথে গ্রেপ্তার করবে, তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রি করে দেবে। এটাই তাদের নিয়ম। সেটা দেখে না কেন? তিনি (ড. ইউনূস) সমানে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবার মামলা করে তার ওপর আদায় করা হচ্ছে। যারা লিখেছেন তারা এই অনুসন্ধানটা একটু করুন। তিনি আরও বলেন, এই যে বিদেশে এত বিনিয়োগ করে বেড়িয়েছেন, টাকাটা কোথা থেকে এসেছে? কার টাকা, কীভাবে কামাই করেছেন এই টাকা? বিনিয়োগ কীভাবে হলো? তিস্তা প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারত ও চীন দুই দেশই প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে যে প্রস্তাব বেশি গ্রহণযোগ্য, লাভজনক হবে, সেটিই বাংলাদেশ নেবে। তবে ভারত প্রকল্পটি করে দিলে সব সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যে পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, এ নীতি মেনেই আমি টানা চতুর্থবার এবং এ নিয়ে পঞ্চমবার রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। এ নীতি মেনেই কিন্তু চলছি। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার ফলে যে সুযোগ এসেছে, দেশের উন্নয়ন করার জন্য, আমার কাছে তা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষের কল্যাণে এবং মানুষের উন্নয়নে, দেশের উন্নয়নের জন্য, যার সঙ্গে যতটা বন্ধুত্ব করা দরকার, ততটা আমি করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব, ভারত আমাদের চরম দুঃসময়ের বন্ধু। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রক্ত দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। সুতরাং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আবার চীনের যে উন্নয়ন, চীন যেভাবে নিজেদের উন্নত করেছে, তা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এসব চিন্তায় রেখেই কিন্তু আমরা সম্পর্ক বজায় রেখে যাচ্ছি। সরকারপ্রধান বলেন, কেউ বলল, আমরা এদিকে ঝুঁকলাম, না ওদিকে ঝুঁকলাম, এসব কিন্তু আমলে নিইনি। ওই যে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমাকে অনেকে জিজ্ঞেস করে, এমনকি বিদেশি অনেকে বলে, আপনি কীভাবে ব্যালেন্স করেন। ব্যালেন্স কোনো বিষয় নয়। তাদের দুই দেশের মধ্যে কী সম্পর্ক, সেটা তাদের বিষয়। আমি কেন নাক গলাব? আমি বন্ধুত্ব রেখে আমার দেশের কল্যাণে কাজ করছি। তিনি বলেন, তিস্তা নিয়ে প্রস্তাব আছে। একটা কথা আমি বলতে চাই, যেখান থেকে যে প্রস্তাবই আসুক না কেন, সে প্রস্তাব কতটা আমার দেশের জন্য প্রযোজ্য, যে টাকা আমি লোন করব, তা শোধ করার মতো সক্ষমতা আমার আছে কি না, আর যে প্রকল্পে আমি দেব, তা সম্পন্ন হওয়ার পর রিটার্ন কী আসবে, আমার দেশের মানুষের কল্যাণে কতটা কাজে লাগবে, তা বিবেচনা করেই আমরা প্রতিটা কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫৪টি নদীর পানি বণ্টনে ভারতের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়ে গেছে। এখানে শুধু ভারত নয়, ওদিকে আবার চীনেরও কিন্তু পানি তুলে নেওয়ার ঘটনা আছে। নদীগুলো নিয়ে কিন্তু নানা ধরনের দ্বন্দ্ব আছে, সমস্যাও আছে, আবার সমাধানের পথও আছে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, চীন প্রস্তাব দিয়েছে, ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্যই আমরা বিবেচনা করব। যে প্রস্তাব আমার দেশের মানুষের কল্যাণে আসবে, সেটিই নেব। সবকিছু বিবেচনা করেই তো নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ভারত যেমন বলেছে, তারা করতে চায়, তাদের রিডার গ্রুপ পাঠাবে, অবশ্যই আমরা যৌথভাবে তা দেখব। তিনি বলেন, চীনও ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে, ভারতও করবে। আমাদের কাছে যেটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য, লাভজনক হবে, আমরা সেটিই নেব। আর যেহেতু ভারতের সঙ্গে আমাদের তিস্তার পানির দাবিটা অনেক দিনের, ভারত যদি আমাদের তিস্তা প্রকল্পটা করে দেয়, তাহলে আমাদের সব সমস্যারই সমাধান হয়ে গেল। এটা আমাদের জন্য বেশি সহজ হলো না? আপনারা নিজেরাই বিবেচনা করে দেখবেন। শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে যদি আমরা তিস্তা প্রকল্পটা করি, আমার দেশের এই পানি নিয়ে আর প্রতিদিন প্যাঁ প্যাঁ করতে হবে না, আমরা সে সুবিধা পাব। আমি তো কোনো সমস্যা দেখি না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী (নরেন্দ্র মোদী) আমাকে দাওয়াত দিলেন তার শপথ অনুষ্ঠানে যেতে, আমি গেলাম। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় সফরের দাওয়াত দিলেন, আমি রাষ্ট্রীয় সফরও করে এলাম। চীন আমাকে দাওয়াত দিয়েছে, আমি চীনে যাব। আমি যাব না কেন? আমার বাংলাদেশ সার্বভৌম দেশ। আমি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে চলি। আমার দেশের মানুষের জন্য কতটা কী করতে পারি, সেটাই আমার লক্ষ্য।