শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে কাজ করবেন নতুন কিউরেটর

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস স্পোর্টস: দেশের ক্রিকেটে বিদেশি কিউরেটরদের তালিকায় যুক্ত হলেন নতুন একজন। এবার নিয়োগ পেলেন অস্ট্রেলিয়ার টনি হেমিং। সংবাদ বিবৃতিতে বিসিবি রোববার অভিজ্ঞ এই কিউরেটরের সঙ্গে ২ বছরের চুক্তির খবর জানিয়েছে। এরইমধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। পূর্বাচলে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কাজ করবেন হেমিং। মূলত কিউরেটর হলেও মাঠের সার্বিক তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব তাকেই দিয়েছে বিসিবি। ক্রিকেট পিচ, মাটি বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষক হিসেবে প্রায় ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা হেমিংয়ের। আশির দশকে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ক্যারিয়ার শুরু তার। দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি ও দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর হিসেবেও দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ওমানেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। বাংলাদেশে আসার আগে প্রায় অর্ধ যুগ তিনি অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ওয়াকা স্টেডিয়ামে মাটি বিশেষজ্ঞ ও অপটাস স্টেডিয়ামে অ্যারেনা ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। ক্রিকেটের বাইরেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। প্রায় দুই বছর সৌদি আরবের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামের অ্যারেনা ম্যানেজার ছিলেন হেমিং। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার সংবাদমাধ্যমে হেমিংকে পরিচয় করিয়ে দেন বিসিবির মাঠ বিষয়ক কমিটির ম্যানেজার আবদুল বাতেন। এ সময় হেমিংয়ের কাজের ক্ষেত্রের ব্যাপারেও ধারণা দেন তিনি। “মাঠ, ড্রেনেজ সিস্টেম, উইকেট, আউট ফিল্ড- এর কাজ করার জন্য এই মুহূর্তে আইসিসি ও বিশ্বের অভিজ্ঞ কিউরেটর হলেন টনি হেমিং৷ বিভিন্ন দেশে উইকেট বানানোর অভিজ্ঞতা আছে তার। সেটা বিবেচনায় রেখেই আজকে থেকে তার সঙ্গে আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি পপুলাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবেন তিনি। বিসিবির প্রতিনিধি হয়ে এই মাঠ (শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম) দেখভালের দায়িত্ব নেবেন।””মাঠের ড্রেনেজ, আউটফিল্ড, উইকেট যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয়। ঘাস থেকে শুরু করে সব কিছুই। মাঠের সাথে সবই সম্পর্কিত। ফ্লাড লাইট, জায়ান্ট স্ক্রিন সব কিছু মিলেই একটা কম্বিনেশন। একটা ঠিক না থাকলে কিন্তু কোনোটাই চালানো সম্ভব নয়। সবগুলো ব্যাপার তিনি দেখবেন।” বাংলাদেশে কাজ করার দায়িত্ব নেওয়ার আগে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে ধারণা নিয়ে এসেছেন হেমিং। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে মাঠের আউটফিল্ড ও ড্রেনেজ সিস্টেমে বাড়তি নজর দেবেন। “উপমহাদেশে আমি আগেও কাজ করেছি। গরম, আর্দ্রতার দিক থেকে দুবাইয়ের সঙ্গে মিল আছে। কিন্তু সেখানে এত বৃষ্টি নেই। তো বৃষ্টি থামার পর যেন বেশি সময় অপেক্ষা করতে না হয়, সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।” “এখানের ক্রিকেট পিচের মাটি এখনও দেখা হয়নি আমার। তবে আমি আশা করছি, ভালো উইকেট বানানোর মাটি পাওয়া যাবে। উপভোগ্য ক্রিকেট খেলার মতো উইকেট বানানো আমার সবসময় পছন্দ৷ দুবাইয়ে টেস্ট ম্যাচের কথা মনে থাকলে হয়তো বুঝবেন। সব মিলিয়ে ভালো উইকেট বানানোর উপকরণ এখানে পাবো আশা করি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com