এফএনএস স্পোর্টস: একের পর এক ম্যাচ দাপুটে জয়। ব্যক্তিগত আর দলীয় নানা অর্জন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের রেকর্ডময় পথচলায় পিষ্ট আয়ারল্যান্ড। কোনো লড়াই করা বা প্রতিরোধ তারা গড়তে পারছে না। মাঠের লড়াইয়ে তবু তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কোনো সুযোগ দেখছেন না সাকিব আল হাসান। শেষ ম্যাচে যদিও একাদশে পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে রাখলেন তিনি। তবে ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলগুলিকে অনুসরণ করেই প্রতিপক্ষকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে কাজ শেষ করতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচে সাকিবদের দাপুটে ক্রিকেটের সামনে টিকতে পারেনি প্রতিপক্ষ। দুই ম্যাচের কোনো পর্যায়েই জয়ের সম্ভাবনা সেভাবে কখনোই জাগাতে পারেনি আইরিশরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে সিলেটে ওয়ানডে সিরিজেও আয়ারল্যান্ডের অবস্থা ছিল তথৈবচ। ২-০ ব্যবধানের সিরিজ জয়ে দুটি ম্যাচ বাংলাদেশ জিতে ১৮৩ রান ও ১০ উইকেটে। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া আরেক ওয়ানডেতে রেকর্ড ৩৪৯ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেও আইরিশরা পারতেন না, এটা বলে দেওয়ায় ঝুঁকি খুব একটা নেই। ওয়ানডে সিরিজের পরপর দুই ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টানা দুই ম্যাচে স্পর্শ করে দুইশ। প্রতিপক্ষকে এরকম বিধ্বস্ত করে এক ম্যাচ বাকি রেখে সিরিজ জয়ের পর শেষ ম্যাচে কিছুটা গা ছাড়া ভাব আসা খুব অস্বাভাবিক নয়। ক্রিকেটে এমন কিছু দেখা গেছে অনেকবারই। তবে উন্নতির নেশায় ছুটে চলা বাংলাদেশ দলে কোনো রকম ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দেখতে চান না অধিনায়ক সাকিব। “যদি ভালো দল হয়ে উঠতে হয়, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড যেমন, তারা ২-০তে এগিয়ে থাকলে সবসময়ই ৩-০ ব্যবধানে জিততে চায়। আমরা সেটিই চেষ্টা করব। তবে টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এমন, যে কেউ জিততে পারে। সংক্ষিপ্ত সংস্করণ এটি, একজন-দুজনই খেলা বদলে দিতে পারে। আত্মতুষ্টির তাই জায়গা নেই।” সিরিজ জয়ের পর শেষ ম্যাচে অবশ্য কিছুটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে তাতে জয়ের তাড়নায় কোনো কমতি থাকবে না, সেটিও তিনি নিশ্চিত করে দিলেন। “আমরা হয়তো দু-একজনকে বদল করতে পারি, অন্যান্যের খেলিয়ে দেখতে পারি। তবে তারাও একইরকম ক্ষুধার্ত থাকবে বাংলাদেশের জন্য রান করতে বা উইকেট নিতে।”