বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোনালাপ শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি: ৮ মেগা প্রকল্পের সব নথি তলব দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে কূটনৈতিক চ্যানেলে চেষ্টা করা হচ্ছে: চিফ প্রসিকিউটর ঢাকা—খুলনা রুটে নতুন ট্রেন চলাচল শুরু, উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা যারা গণহত্যায় জড়িত ছিল তাদের বিএনপিতে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায় নির্বাচন কমিশন দেশের তিন পরিবেশ আদালতে আইনি বাধায় পর্যাপ্ত মামলা নেই সীমান্ত থেকে ১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

শোকাবহ আগস্ট

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২

এফএনএস : আজ রোববার, শোকাবহ আগষ্ট মাসের সপ্তম দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে যেখানেই ভূমিকা রেখেছেন তাকে ছায়ার মত আগলে রেখে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা চড়াই-উত্রাইয়ের সঙ্গী ছিলেন বেগম মুজিব। এই মহীয়সী নারী মানবসেবায় সারাজীবন নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। বেগম মুজিব এবং মুজিব ভাবী নামে রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার পাত্রী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যতবার কারারুদ্ধ হয়েছেন সন্তান-পরিবার-পরিজন ও সহকর্মীদের বেগম মুজিব সাহস যুগিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই মহীয়সী নারীর অবদান অসামান্য। একজন আটপৌরে বাঙ্গালি নারীর বৈশিষ্ট্য ধারণ করেছিলেন তিনি। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, বিরহ-বেদনায় তিনি ছিলেন প্রেরণার উৎস। নিরবে-নিভৃতে তিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি কখনোই বিচলিত হননি। একজন রাজনৈতিক নেতার সহধর্মিণী হিসাবে সারাদিন মানুষকে আহার যুগিয়েছেন। হাসিমুখে অকাতরে দান করেছেন; কিন্তু কখনোই নিজের কষ্ট কাউকে বুঝতে দেননি। সদালাপী, নির্মোহ, নিরহংকারী বেগম মুজিব ছিলেন সকলের শ্রদ্ধার পাত্রী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে শত্র“হীন, সদালাপী, বহুগুণে গুণানি¦ত এই গৃহবাসী নারীও ঘাতকের তপ্ত বুলেট থেকে রেহাই পাননি। জাতির জন্য সত্যিই এ এক বড় দুর্ভাগ্য। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭২’র ১০ জানুয়ারি পশ্চিম পকিস্তানের জেল থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। স্বাধীন বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক অনেক পদক্ষেপ তাকে নিতে হয়েছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং জাতিকে শিক্ষিত করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন তিনি। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দ্বিতীয় বিপ−বের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ আবারো মাঠে-ঘাটে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশে যখন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে চালের দাম কমে আসে ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশকে পিছিয়ে দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com