ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ শোলগাতিয়া—দৌলতপুর ভায়া শাহপুর সড়কের ইট, পাথর, খোয়া উঠে গিয়ে ছোট—বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে বর্তমানে সড়ক দিয়ে যানবাহন ও সর্বসাধারণের যাতায়াত অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা, বাড়ছে জনদুর্ভোগ। দীর্ঘদিন এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হলেও যেন বিষয়টি দেখার কেউ নেই? স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে জানা যায়, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শোলগাতিয়া—খুলনা মহানগরী দৌলতপুর ভায়া শাহাপুর এলাকাবাসীর দাবিতে প্রেক্ষিতে ৯০ এর দশকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে সড়কটি পাকাকরণ করা হয়। উপজেলার বাণিজ্যিক নগরী নামে খ্যাত শাহপুর হাট—বাজার। এখানে রয়েছে, সরকারি ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টোক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, সরকারি শাহপুর মধুগ্রাম কলেজ, পশুরহাট ও মাছের আড়ত। এ ছাড়া শোলগাতিয়া— দৌলতপুর পর্যন্ত সড়ক অভ্যন্তরে দুইপাশ দিয়ে রয়েছে হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুল, মাদ্রাসাসহ অন্তত ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১০টি তফসিলভুক্ত ব্যাংক, ২০ টি এনজিও অফিস, ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একাধিক ইউনিয়ন ভূমি অফিস শোলগাতিয়া, শাহপুর, সলুয়া ও বাইবাস ক্রসিং এলাকা মিলে রয়েছে ৪টি বড় মাছের আড়তসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার শাহপুর হাটে সড়কের উপর বসে গরুর হাট। ফলে খুলনা মহানগরীর সাথে সংযোগ এ সড়ক দিয়ে ব্যবসায়ি, শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, কর্মজীবী মানুষ, মোটরভ্যান, মটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা, বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস পণ্য পরিবহনসহ অসংখ্য যানবাহন রাত—দিন অবিরাম যাতায়াত করে থাকে। ফলে সড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ততম ও গুরত্ব বহন করে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কের অধিকাংশ স্থানে ইট পাথর খোয়া উঠে ছোট—বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁঁকিপূর্ণ এ সড়কে ঘটছে ছোট—বড় সড়ক দুর্ঘটনা। যানবহন চালক মোহাম্মদ আনিস শিকদার ও মিলন মোল্লা জানান ভাঙাচুরা রাস্তায় গাড়ী চালাতে খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন সময় সৃষ্ট খানা খন্দকের মধ্যে পড়ে যানবাহনের যন্ত্রাংশ খুলে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টোক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি শাহপুর পরিচালক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অধ্যক্ষ ডাঃ দীনবন্ধু সাহা, সরকারি শাহপুর মধুগ্রাম কলেজ অধ্যক্ষ জীবন কুমার কর্মকার, প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান, বাজার বনিক সমিতির সভাপতি এ কে এম জাফর ইকবাল, সমাজ সেবক ডাঃ আলমগীর হোসেন, ব্যবসায়ি আব্দুর রব আকুঞ্জি, ব্যবসায়ি গাজী আবুল কালামসহ এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বর্তমানে বেহাল দশা। বর্তমানে এটি এক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সড়কটি পুনঃসংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তহিদুজ্জামান এ প্রতিনিধিকে জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে দুর্ভোগ লাঘবে পুনঃসংস্কার অতি জরুরি। তাছাড়া সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার গরুহাটের যানজট নিরসনে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকে। সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তানিমুল হক বলেন, সদ্য যোগদান করেছি। দেখে শুনে পুনঃসংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।