বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার গুমানতলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিম সরদার, পশ্চিম কৈখালী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রুহুল কুদ্দুস এবং মুন্সিগঞ্জ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সাহাবুদ্দীন গাজী। থানা সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরীপুর সোনারমোড় মাছের আড়ৎ থেকে হাসিম সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রুহুল কুদ্দুস ও সাহাবুদ্দীন গাজীকে যথাক্রমে পশ্চিম কৈখালী ও মুন্সিগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হাসিম সরদার, রুহুল কুদ্দুস ও সাহাবুদ্দীন গাজীর বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। তারা স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ূন কবীর মোল্লা দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলা (নং ১৬/৩৩২, তারিখ ২৯ নভেম্বর) দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। কথোপকথন একপর্যায়ে বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় শ্যামনগরের অপরাধীদের ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হাসিম সরদার দীর্ঘদিন ধরে শ্যামনগরে অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন। তিনি সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হায়দারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিজস্ব বাহিনী তৈরি করেছিলেন এবং ঘের দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করেছেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হোক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে হয়রানি করা না হোক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় আরও অভিযান পরিচালিত হবে এবং শ্যামনগরকে সন্ত্রাস ও অপরাধমুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।