মুন্সীগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি ॥ দর্শনার্থীদের জন্য অপরুপ সাজে সেজেছে আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার। বিশেষ করে ঈদেকে কেন্দ্র করে সবার মিলনমেলায় এর সৌন্দর্য যেন আরও কয়েক গুন বেড়ে গেছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঈদের প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা চোঁখে পড়ার মতো আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সুন্দরবন কোল ঘেঁষে ২১ একর জায়গার নদীর উপর নির্মিত। সারি সারি কেওড়া, বাইন, খলিশা, পশুর, সুন্দরী, গাছ ও সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আছে ফিস মিউজিয়াম, শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্ট হাউস,ক্যানটিন, বিভিন্ন প্রসাধনী দোকান, বসার জন্য দৃষ্টিনন্দন ঘর, জোয়ার, ভাটার এ এক প্রকৃতির খেলা। এখানে দর্শক নন্দিত জন প্রিয় অনুষ্ঠান। ওপারে সুন্দরবন মাঝখানে মালঞ্চ নদী এপারে নদীর উপর নির্মিত আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার। পাশেই মুন্সিগঞ্জ ফরেস্ট অফিস নৌকা ও ট্রলার যোগে বনের ভিতর নির্মিত কলাগাছি টুরিষ্ট সেন্টার, দোবেকি। ওখানে চিত্রা হরিণ,বানর,নাম না জানা কত পশুপাখি আকাশ লীনা ওয়াচ টাওয়ারে উঠলে সুন্দরবনের অনেক অংশ দেখা যাবে। বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা একেই শুরে বলেন আল্লাহ তায়ালা অনুরুপ সাজে সাজিয়েছেন সুন্দরবন। সুন্দরবনকে না দেখলে কাওকে বুঝাতে পারব না সুন্দরবন দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি, আল্লাহ তায়ালা আমাদের হায়াতে বাঁচিয়ে রাখলে আবার আসবো। শুধু ঈদে নয় বিশেষ বিশেষ দিনে বিনোদন পেতে পাশের জেলার দর্শনার্থীদের ঘুরতে আসে এই আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে। তবে দর্শনার্থীরা অভিযোগ করে বলেন এখানে যদি থাকার মত সুন্দর হোটেলে ব্যবস্থা থাকত তাহলে আমরা ২-৩ দিন পরিবার সহ এখানে থেকে আরো সুন্দরভাবে সুন্দরবনকে উপভোগ করতাম। বাংলাদেশের কোথাও সড়কপথে সুন্দরবন দেখার মত সুযোগ নেই। যাহা সাতক্ষীরা জেলায় শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে সুন্দরবন সংলগ আছে।