এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকেঃ শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বিড়ালক্ষী গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর ডান তীর বিড়ালক্ষী কুনের মাথা সংলগ্ন পাউবো বেড়িবাঁধ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে ৩/৪দিন ধরে ভারী বর্ষণ ও অতিরিক্ত জোয়ারে নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ভাঙন দেখা দেয়। হঠাৎ ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসী আশঙ্কায় দিন পার করছে। নিম্নচাপের কারণে নদীর জোয়ারের আঘাতে ২দিনে অন্তত ৬০ ফুট বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের বাহিরে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চরম আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনই বেড়িবাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসলি জমি, মাছের ঘের, কাঁকড়ার প্রকল্পসহ মানুষের অর্থনৈতিক ব্যাপক ক্ষতি হবে। বিগত আইলা, আমফান, ফনি, বুলবুল ঝড়ে এখানে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে এই স্থান ভেঙে প্লাবিত হয়। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মাণ হলেও চোখে পড়ার মতো কোনো কাজ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত সোমবার হঠাৎ ২০ ফুটের মত ভাঙ্গন দেখা দেয় এবং মঙ্গলবার সেই স্থানে ভাঙ্গন এখন প্রায় ৬০ফুট। এখনই মেরামতের উদ্যোগ না নিলে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে এলাকাটি। বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, দাতিনাখালীর ওই এলাকাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। চুনা নদীর স্রোত লোকালয়ের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়। যার ফলে বেড়িবাঁধের গোড়ার পলিমাটি সরে গিয়ে বেড়িবাঁধ ধসের ঘটনা ঘটেছে মাত্র কয়েক দিন আগে। আবার নতুন একটি জায়গায় একই ঘটনা ঘটেছে গতকাল। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা ও স্থানীয়দের পরামর্শে মেরামত করা হবে ভঙ্গুর এই বাঁধটি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সাজ্জাদুল হক জানান, আমরা ইতিমধ্যে ভাঙ্গন কবলিত জায়গা পরিদর্শন করেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঐ স্থানে দ্রুত কাজ শুরু করেছি, সেখানে আমাদের কার্যক্রম চলমান।