জাকির হোসেন \ দেশের সুন্দরবন বেষ্টিত শহর খ্যাত শ্যামনগর উত্তপ্ত হয়েছে আর এই উত্তপ্তের ক্ষেত্র বিএনপির দুই গ্রুপের হাঙ্গামা। জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত কমিটি ঘোষনা, আবার সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা। বুধবার বি এন পির দুই গ্রুপ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে, রক্তপাত, সহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা শ্যামনগর বাসি প্রত্যক্ষ করেছে।স্থানীয় জনসাধারন জানায় প্রশাসনের তাৎক্ষনিক হস্তক্ষেপে বড় ধরনের হতে রক্ষা পেয়েছে শ্যামনগর। সেনা বাহিনী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ, সত্যিকার অর্থে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। বুধবারের হামলা পাল্টা হামলায় আহত হয়েছে ২০—২৫ জন। আহতদের কেউ কেউ মারাত্মক ভাবে আহত। বিএনপির স্থানীয় নেতা কর্মিদের ভাষ্য দলীয় গ্রুপিং থাকবে তাই বলে রাজপথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়াটা দলের জন্যই অবমাননাকর। উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারী করেছে। দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে। সর্বশেষ চৌদ্দ বছর পূর্বে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির কমিটি হয় সেই থেকে সম্মেলন হয়নি এবং নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটেনি। নেতা কর্মিদের প্রত্যাশা সম্মেলন অন্যদিকে দলীয় গ্রুপিং এর কল্যানে গ্রুপগুলো নিজ নিজ বলয়কে শক্তিশালী করার ও গ্রুপিং রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে মরিয়া। শত সহস্র কর্মির সকলে যে পদ পাবে তা তো নয়। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে শ্যামনগরে পুলিশ মোতায়েন আছে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।