বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের অধীনে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ড্রাম বিতরণ করার কাজ চলমান। এই সুযোগে সাতক্ষীরা-০৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ এর নাম ভাঙিয়ে সদর উপজেলার নকিপুর গ্রামের জহির উদ্দিন (৪০) নামে এক প্রতারক উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে এন আইডি কার্ড সাথে নগদ ৩০০/= টাকা নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। প্রতারক জহির পুলিশের কাছে স্বীকার করে, সে গ্রামে গ্রামে গিয়ে শতধিক মানুষের কাছ থেকে ড্রাম দেওয়ার নাম করে ৩ শত টাকা আর আইডি কার্ড নিয়ে আসে। আর বলে আসে ড্রাম পেলে আরও ২ হাজার টাকা করে দিতে হবে। জহির আরও বলেন আমার আগের তোলা আইডি কার্ড ও টাকা হায়বাতপুর (ফুলতলা) গ্রামের হোসেন আলীর পুত্র শ্যামনগর প্রতিবন্ধী কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম মন্টুর কাছে জমা আছে। মন্টু বাড়িতে আসলে বাকি টাকা ও আইডি কার্ড ফেরত দেবে বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। ছাড়া পেয়ে ১৫ টা আইডি কার্ড ও ২৬ শত টাকা ফেরত দেয়। আর বাকি টাকা ও আইডি কার্ড ২৫ তারিখে ফেরত দেবে বলে প্রতিশ্র“তি দেয়। এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম মন্টু জানান, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। প্রতারণার সংক্রান্ত বিষয় জানতে পেরে সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন এর হস্তক্ষেপে প্রতারিত সাধারণ জনগণকে ৩০০/= করে টাকা ফেরত দিলেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক মেহেদী হাসান মারুফ, এম কামরুজ্জামান, উপজেলা হিন্দু পরিষদের আহবায়ক অনাথ মন্ডল, সদস্য সচিব উৎপল মন্ডল প্রমুখ। প্রতারণার টাকা ফেরত পেয়ে উপজেলার গুচ্ছ গ্রামের সালমা পারভীন, সাবিনা পারভীন, আব্দুল মজিদ সহ কয়েক জন এমপি এস এম আতাউল হক দোলন ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদ-উজ-জামান সাঈদকে ধন্যবাদ জানান। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আইডি কার্ড ও টাকা ফেরত দেবে এবং এমন কাজ আর কখনো করবে না এমন শর্তে মুচলেকা নিয়ে জহিরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।