সোহরাব হোসেন শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ থেকে ॥ পবিত্র মাহে রমজান মাসের রোজার সময় সব পরিবারের ইফতারি কম বেশি ফল রাখেন। ভাজাপড়ার পাশাপাশি ফল খেয়ে সারাদিন ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করেন সব শ্রেণীর মানুষ কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও এবার চড়া দামের কারণে ইফতারের বিভিন্ন রকমের ফল রাখা সম্ভব হয় না অনেকের পক্ষে। শ্যামনগরে ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানি কম আর রোজার শুরুতে চাহিদা অনেক বেশি বলেই বাজার চড়া ফলে রোজার বাজারে আগুন। এদিকে বাজারে ফলের কমতি নেই। স্থায়ী দোকান থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা ভ্যানে করে ফল ফেরি করে বেড়ান অনেকে। সেসব ফলের চাহিদা কম নেই ক্রেতাদের কাছে। আর চাহিদা বেশি থাকে বলে প্রতিবারে ফলের বাজারে আগুন লাগবে এটাই স্বাভাবিক। যদিও বাজারে অলি গলিতে শুরু করে সব ফলের বাজারে ভরা ফল। এবার রোজা শুরু থেকে বেড়ে গেলো তরমুজ আঙ্গুর মালটা আপেল কমলা বেদানা নাশপাতি আর খেজুর দাম। এ সময় বাজারে রসালো এবং মুখরোচক নানা সাধের ফলের অভাব নেই। তরমুজ আপেল বেল কমলা মাল্টা আঙ্গুর নাসপতি ডাব পেঁপে বরই সবেদা সহ আরো কিছু ফলের দেখা মিলে বাজারে। কেবল কিনতে গেলেই দাম শুনে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসতে হয়। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে কেনেন সামান্য। বাজারে সরবরাহ যথেষ্ট থাকার পরেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর ভিন্ন নামে বিভিন্ন মানের খেজুরের দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। দুইশত টাকার নিচে বাজারে কোন খেজুর নেই। রমজানের অনেকে সারাদিন রোজা রাখার পর ভাজাপোড়া খাবার বাদ দিয়ে শরবত দই চিড়া বা বিভিন্ন ফল দিয়ে ইফতার করতে চান। তাপ দাহার কারণে এইসব ফল বেশি করে কিনে রাখা যায় না নষ্ট হওয়ার কারণে। সে কারণে রোজার প্রতিদিনই ফলের দোকান গুলোতেই চাপ বাড়ে ক্রেতার।অথচ পছন্দ চাহিদা মত ফল কিনতে গিয়ে বাধা হয়ে ফিরে আসেন অনেকেই। হরিনগর বাজারে অনেক বছর ধরে সিজনাল ফলের ব্যবসা করছেন কাদের গাজী। তিনি বলেন এবার রোজা শুরু থেকে ক্রেতারা ফল দেখছেন বেশি কিনছেন কম। গরম এবং রমজানে বেশি বিক্রি হওয়ার আশায় অনেক পরিমাণের ফল কিনেছিলাম। কিন্তু কম বিক্রি হওয়াত বেশ কিছু ফল ইতিমধ্যে পচে গেছে। এবারে লাভের জায়গায় বেশ লস হয়ে গেল। শ্যামনগরে বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছেরমজানের কারণে সব ফলের দাম বেড়েছে তুলনামূলক বেশি। রসালো ফল হিসেবে পরিচিত ১ কেজি মালটার দাম সাড়ে ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। কমলার কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ আপেলের দাম কেজি প্রতি ২৫০থেকে শুরু করে ৩৮০ আনার ৩০০ থেকে ৩৫০টাকা নাসপতি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা পেয়ারা ৮০ টাকা বরুই ১০০ টাকা। ফল কিনতে আসা আব্দুর রহমান আক্ষেপ করে বলেন রোজার সময় সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পর ইচ্ছা থাকলেও ফল কিনতে পারিনা। তারপরও ছেলেমেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে সামান্য পরিমাণে কিনতে হয়। ফলের দাম দেখে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছুই নেই। প্রতি বছর রোজা আসলেই নিত্যপ্রয়োজন জিনিস পত্র সহ ফলের দাম বৃদ্ধি করে এক শ্রেনী অসাধু সেন্টকেট ব্যাবসায়ীরা এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা উচিৎ।