এসএম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে \ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলায় মৃত্যুর চার মাস পর রাবেয়া সুলতানা মায়া (২৪) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ রাবেয়া সুলতানা মায়া উপজেলার ভুরুলিয়া রুদ্রপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুস সামাদের কন্যা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ রনী খাতুন এর উপস্থিতিতে রুদ্রপুর গৃহবধূর বাবার বাড়ি কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান এবং থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ন কবির মোল্লা। ঘটনা সুত্রে জানাযায়, গত ১০ আগষ্ট উপজেলার রমজাননগর সোনাখালি গ্রামে স্বামীর বাড়িতে রাবেয়া সুলতানা মায়া সবার অজান্তে বিষ পানে আত্মহত্যা করে এবং উভয় পরিবারের সম্মতিতে মরদেহ বিনা ময়না তদন্তে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষে রাবেয়া সুলতানা মায়ার মাতা মোছাঃ ফজিলা বেগম বাদী হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মৃতের স্বামী মোঃ রাশিদুল ইসলাম ও স্বামীর আত্মীয় হাফিজুর রহমান সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে ৪৩৯/২৪ নং মামলা দায়ের করেন। বিষয়টির রহস্য উদঘটনের জন্য আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ রনী খাতুনকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, আদালতের নির্দেশে ভিকটিম রাবেয়া সুলতানা মায়ার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ূন কবীর মোল্লা জানান, মরদেহ উত্তোলনের পর সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী যাবতীয় প্রক্রিয়া যথাযথ আইন মেনে করা হবে।