বিশেষ প্রতিনিধি \ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সমন্বিত ম্যানগ্রোভ চিংড়ি চাষের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির উন্নয়ন বিষয়ক সূচনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগীতায় ও মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট এর কারিগরি সহযোগীতায়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগ উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে সমন্বিত ম্যানগ্রোভ চিংড়ি চাষ বিষয়ক কর্মশালার আয়োজনে গতকাল ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার মুন্সিগঞ্জ সুশীলন টাইগার পয়েন্ট মিলনায়তনে প্রকল্পের সূচনা করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ডীন, ফিশারিজ, একোয়াকালচার এবং মেরিন সাইন্স অনুষদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.এ.এম. সাহাবউদ্দিন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, বুড়িগোয়ালিনী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রউফ প্রমুখ। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার সুনীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি চাষ একটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র। সমন্বিত ম্যানগ্রোভ চিংড়ি চাষ (আই এম এস) পদ্ধতি হল চিংড়ি উৎপাদন ঠিক রেখে ম্যানগ্রোভ রক্ষার অন্যতম প্রধান সমাধান। আইএমএস ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং ভারত সহ অনেক দেশে টেকসই চিংড়ি চাষ পদ্ধতি হিসেবে অনুশীলন করা হচ্ছে। ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবারের আয় বৃদ্ধির এই মডেলটিকে সর্বোত্তম অনুশীলন করা হচ্ছে। আইএমএস চিংড়ি চাষে কম বিনিয়োগ প্রয়োজন এবং এটি উপকূলবাসীদের নিয়মিত আয়ের সাথে জীবিকার বৈচিত্রও প্রদান করে। সমন্বিত ম্যানগ্রোভ চিংড়ি চাষের প্রবর্তন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি উৎপাদন বাড়বে এবং এটি ম্যানগ্রোভ রক্ষার অন্যতম প্রধান সমাধান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাসিস্ট্যান্স প্রফেসর মোঃ আব্দুল হান্নান সোহাগ।