এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে \ শ্যামনগর উপজেলায় বীমা কোম্পানীর কর্মকর্তাদের দাওয়াত করে রসনা তৃপ্তির আগেই ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন এক বীমা কর্মী ও তার মামা। গতকাল ৮ মে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা সদর বাধঘাটা খৈতলা নামকস্থান থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলা সদর বাধঘাটা গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র রবিউল ইসলাম (২৮) ও তার মামা একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র আজাদ হোসেন (৩৫)। আটককৃত রবিউল ইসলাম জানান, তিনি মার্কেন্টটাইস ইনসিওরেন্স কোম্পানীতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তার কর্মকর্তারা হরিণের মাংস খেতে চেয়েছিলেন। সে অনুযায়ি সোমবার দুপুরে ওই কর্মকর্তাদের নিজ বাড়িতে দাওয়াত দেন। দাওয়াত দেওয়া হয় মামা আজাদ হোসেনকেও। সোমবার সকাল ৯টার দিকে তিনি কালিগঞ্জের জনৈক মোমিনের কাছ থেকে কেজি প্রতি ৮০০ টাকা দরে ১২ কেজি হরিণের মাংস কেনেন। এর কিছুক্ষণ পর সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা উপপরিদর্শক শাখাওয়াতুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ও তার মামাকে মাংসসহ গ্রেপ্তার করে। উপজেলা ভেটেনারী সার্জন ডাঃ সুব্রত কুমার বিশ্বাস জানান, জব্দকৃত মাংস পরীক্ষা করে হরিণের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ হাফিজুর রহমান দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, হরিণের মাংস সহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।