এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকেঃ শ্যামনগর উপজেলায় শীতকালীন সবজির বাজার চড়া, দিশেহারা সাধারণ ক্রেতারা, জরিমানা করলেও কমেনি পেঁয়াজের দাম। শীতকালীন সবজির দাম বাড়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্তরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে শীতকালীন সবজির, শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ব্যাপক হারে দাম বেড়েছে। শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, সকল শীতকালীন সবজির লাগাম ছাড়া মূল্য বৃদ্ধিতে অসহায় হয়ে পড়েছে সরকারি চাকুরীজীবি থেকে শুরু করে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা। গতকাল সরেজমিনে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য সবজির সাথে শীতকালীন সবজির দাম বেড়ে হয়েছে ফুলকপি ৩৫/৪০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, টমেটো ৬০/৬৫ টাকা, বেগুন ৪০/৫০টাকা, আলু ৫৫ টাকা। তবে কাঁচামরিচের দাম একটু কম আছে বলে মনে করেন ক্রেতারা। এদিকে ব্যাপক হারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্রেতারা। বিভিন্ন বাজার ফেরত কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা মারফত জানা যায়, বাজারে যে হারে কাঁচা বাজার সহ মসলার দাম বেড়েছে পরিবার নিয়ে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় না খেয়ে মরতে হবে। ভারত সহ কয়েকটি দেশে থেকে সরকারি ভাবে পেঁয়াজ আমদানি করলেও পেঁয়াজ মজুদ করে বিভিন্ন অজুহাতে হঠাৎ করেই ব্যবসায়ীরা একযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০টাকা, দেশী পেঁয়াজ ১৮০থেকে ২০০টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে বলে মনে করেন সাধারণত ক্রেতারা। তবে অধিকাংশ ব্যাবসায়ীদের দাবী মৌতলা পাইকারি আড়ৎদারেরা দাম বেশী ধরায় তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে অনেক ব্যবসায়ীদের দাবী। পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে অনেক ক্রেতাই বেশি করে পেঁয়াজ ক্রয় করে মজুদ করছেন। এসময় পেঁয়াজ আমদানিকাররাই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন বলে দাবি করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে নকিপুর কাঁচাবাজারের তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।