বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে “সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড” নামীয় কাঁকড়া হ্যাচারীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন জমির মালিকগণ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় “সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড” নামীয় কাঁকড়া হ্যাচারীর সামনে মানববন্ধনে জমিরমালিকগণ বলেন, তাদের জমিতে কাঁকড়া হ্যাচারী করলেও চুক্তি অনুযায়ী তাদের জমির হারীর টাকা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন হ্যাচারীর মালিকপক্ষ। ২০১৬ সালে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীতে “সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড” নামে একটি হ্যাচারি কাঁকড়া খামার গড়ে তোলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চুক্তিতে যাওয়া জমির মালিক ও ফার্মের সঙ্গে লেনদেন করেন অন্যান্য কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা। খামারটি বন্ধ থাকায় পাওনা টাকা বা জমি কোনোটাই ফেরত পাচ্ছেন না জমির মালিকরা। ২০১৬ সালের পয়লা জানুয়ারি বুড়িগোয়ালি উপকূলীয় দাতিনাখালি এলাকায় ৪৮ বিঘা জমির ওপর কাঁকড়া প্রকল্পের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী স্থানীয় ১২ জন জমির মালিকের কাছ থেকে প্রতি বিঘা জমি ১২ হাজার টাকা হিসেবে ইজারা নেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ তার দুই ব্যবসায়িক সহযোগী সাহাগী হোসেন পাভেল ও মোঃ ইমদাদুল হক। জমির চুক্তিনামার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। প্রকল্পে জমি ইজারাদানকারীরা জানান, অনেক আগেই ক্রিকেটার সাকিবসহ তিনজনের সঙ্গে জমির চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এছাড়া এর আগে সাকিব আল হাসানের নামে সাইনবোর্ড থাকলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে সাকিবের নামের কোনো অস্তিত্ব নেই। পাশাপাশি, বর্তমানে খামারটি বন্ধ রয়েছে। মেয়াদ শেষ হলেও তারা নতুন করে চুক্তি করছেন না, এমনকি জমিও ফেরত দিচ্ছেন না। খামারের শ্রমিকরা পাওনা টাকা ও জমির মালিকদের পাওনা টাকার দাবীতে বিক্ষোভ করেছিলেন। পরবর্তীতে সাকিবের নির্দেশনায় সেই টাকা দ্রুত পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হলে অনেকে টাকা পেয়েছে। প্রকল্পের সাহাগীর হোসেন পাভেল, ইমদাদুল হক ও ম্যানেজার তৌফিক জানান, প্রকল্পটি এখন আপাততঃ বন্ধ রয়েছে, তবে আমরা ২০২১ সালের জমির মালিকদের হারির টাকা দিয়ে দিয়েছি। ২০২২ সালের টাকা দেওয়া হয়নি। সেজন্য আগামী দুই মাস জমির মালিকের কাছ থেকে সময় নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের ন্যায্য টাকা দেওয়া হবে এবং অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। মহামারী করোনা’র কারনে আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।