এসএম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে ॥ স্কুল ছুটি তাই, বেড়ানোর আবদারে, বড় ভাইয়ের বাইসাইকেলে ঘুরতে যাওয়ার সময় শ্যামনগর উপজেলার খানপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মিশন এলাকায় প্রাইভেট কারের ধাক্কায় স্কুল পড়ুয়া ছোট ভাই আব্দুল্লাহ তমিজি (১০) মৃত্যুবরণ করেছে। অপার ভাই সাইকেল চালক হাবিবুল্লাহ তমিজি (১৩) মারাত্মকভাবে যখম হয়েছে। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শিশু আব্দুল্লাহ তমিজি মারা যায়। নিহত শিশু উপজেলার দরগাপুর মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ও উপজেলার খানপুর এলাকার অলিউল্লাহ তমিজির পুত্র। গুরুতর আহত অপার পুত্র হাবিবুল্লাহ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সে ওই একই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। নিহতের পিতা অলিউল্লাহ জানান, ছোট ছেলে আব্দুল্লাহর অনুরোধে আমার বড় ছেলে হাবিবুল্লা বাইসাইকেল যোগে দুই ভাই ঘুরতে বেরিয়েছিল, খানপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়ার পথে অপরদিক শ্যামনগর সদর থেকে আশা একটি মাইক্রো তাদেরকে মেরে দেয়। এ সময় সাইকেলসহ আমার দুই শিশু রাস্তায় পড়ে গেলে প্রচন্ডভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়। তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আমার শিশু পুত্র আব্দুল্লাহ তমিজি মৃত্যু ঘোষণা করে কর্তব্যরত ডাক্তার। অপর পুত্র হাবিবুল্লাহ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মনিরুল ইসলাম বলেন, সকাল দশটার দিকে খানপুর মিশন সংলগ্ন এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সাইকেলযোগে যাওয়ার সময় দুই শিশু মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন গুরুতর আহত হয়েছে। প্রাইভেটকার চালক ওই সময় পালিয়ে গেলেও, প্রাইভেট টি শ্যামনগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। এস কে সিরাজ বলেন, উপজেলার খানপুর সংলগ্ন এলাকাটি একটি অভিশপ্ত এলাকায় পরিণত হয়েছে, প্রায় সময় ঐখানে দুর্ঘটনা লেগেই আছে, ইতিমধ্যে ৩০ জনের ঊর্ধ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় ওই এলাকায় মানুষ মারা গেছে, তিনি বলেন ওই এলাকায় দু’পাশে দুটি স্প্রিড ব্রেকার দেওয়া খুবই প্রয়োজন। এ বিষয থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবীর মোল্লা ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুটি শিশুর মধ্যে একজন মারা গেছে অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে, এছাড়া মাইক্রোবাসটি টি উদ্ধার করে মাইক্রো স্ট্যান্ডে আটক রাখা হয়েছে।