বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলার হাজী ব্রিকস নামক ইটভাটাটি ভাঙচুর ও লুটপাটে ১ কোটি টাকার বেশি মালামাল ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ইছাকুড় গ্রামে হাজী ব্রিকস নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সরকারি নির্দেশনা মেনে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছে উপজেলার ভুরুলিয়া কাটিবারহল গ্রামের মৃত গহর আলী শেখের পুত্র মোস্তাক শেখ। হাজী ব্রিকসের সহকারি ম্যানেজার কাটিবারহল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র দৌলত আলি জানান, গত ৭ জানুয়ারি জনৈক মুনছুর আলী কাগুচি ভাটার পাশে গম খেতে ঘাস কাটতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুত স্পর্শে অকাঙি্ক্ষতভাবে মৃত্যুবরণ করে। তার মৃত্যুতে আমরা ইট ভাটার সকলেই মর্মাহত। কার কখন কোথায় কিভাবে মৃত্যু হবে তা একমাত্র আল্লাহ তালাই জানেন। তার মৃত্যুতে আমাদের ইট ভাটার মালিক মোস্তাক শেখ সহ কারও কোন দোষ নেই। কিন্তু আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে, আমাদের ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দীর উস্কানিতে স্থানীয় জহুর আলী কাগুচির পুত্র মোঃ রবিউল ইসলাম ছোট্টু, মোক্তার আলী কাগুচির পুত্র শহিদুল ইসলাম, মৃত যাদো কাগুচির পুত্র জলিল কাগুচি, মাতো কাগুচির পুত্র মহসীন কাগুচি সহ তার দোষর সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে অফিস, সিসি ক্যামেরা, হাজী ব্রিকস এর ব্যবহৃত ডাম্পার গাড়ি, ভেকু গাড়ি, ব্রিকস এর ব্যবহৃত মেশিন সহ বিভিন্ন মালামালের ক্ষতি, একটি গাভী পিটিয়ে মেরে ফেলে এবং অন্যান্য আসবাবপত্র, নগদ টাকা সহ আনুমানিক ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। বর্তমানে ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীর দিয়ে আমাদের ইট ভাটাটি দখলের পায়তারা করছে। ১৮ জানুয়ারি শনিবার সকালে ওই সংঘবদ্ধ চক্রটি দলবদ্ধ হয়ে ইট ভাটার স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করছে। তাদের হুমকি ধামকিতে আমাদের লোকজন ভাটায় আসতে ভয় পাচ্ছে। আমরা যেন সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ইটভাটা পরিচালনা করতে পারি এবং গুন্ডাবাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি সেজন্য আপনারা সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।