এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকেঃ প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। আজ এমনই একজন সমাজ সেবক যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি (চেয়ারম্যান) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি হলেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ৪নং নূরনগর ইউনিয়ন এর স্বনামধন্য ৮ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদ। তিনি বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের এক বিশ্বস্থ আওয়ামিলীগ কর্মী হিসাবে নিরলস ভাবে জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার মধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের সমন্বয়ে ইউপি উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরকারের বরাদ্দকৃত নূরনগর ইউনিয়ন এর জন্য পাওয়া টিআর, কাবিখা-টাবিখা, কর্মসৃজন প্রকল্প, এলজিএসপি, ওয়ান পারসেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেঞ্চ, কমিউনিটি ক্লিনিকে ফ্যান, চেয়ার, আলমারি, অবহেলিত রাস্তাঘাট সংস্কার ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিচয় দিয়ে সঠিক ও সুন্দর ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদ গ্রাম বাংলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৭ সালের ৪ জানুয়ারি শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর দক্ষিণ হাজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে কৃতিত্বের সহিত বিকম পাস করেন। তার পিতা আলহাজ্ব সৈয়দ আলী গাজী ছিলেন পেশায় একজন ব্যবসায়ী, মা গোলাপজান বিবি একজন গৃহিণী। তার স্ত্রী মিসেস রাহিলা আহমেদ দীর্ঘদিন সুনামের সহিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। ব্যক্তিগত জীবনে এই সফল দম্পতি তিন পুত্র সন্তানের জনক-জননী। তিনি কৃতিত্বের সহিত তার পুত্রদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তাদের বড় পুত্র ডাক্তার রাসেল আহমেদ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী একজন স্বনামধন্য ডাক্তার। দ্বিতীয় পুত্র জুয়েল আহমেদ কানাডা প্রবাসী এবং ছোট পুত্র রুমেল আহমেদ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। লেখাপড়া শেষ করে বখতিয়ার আহমেদ ১৯৬৯ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে অদ্যবধি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছেন এবং কখনো কোনো চাপে পড়ে দল ত্যাগ করেননি। তিনি আওয়ামীলীগের একজন ত্যাগী নেতা ও কর্মী। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী-মেধাবী সমাজ সেবক, সকলের দু:খ দুর্দশায় নিজেকে নিয়োজিত করে একজন নেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তারই ফলশ্র“তিতে রাজনীতিতে এসে জীবনের প্রথমবার ১৯৭৭ সালে ইউপি নির্বাচন করেই সকল শ্রেণীর জনগণের ব্যাপক ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি ইউনিয়নের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন একাধারে। সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানব দরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। ১৯৭৭ সাল থেকে অদ্যবধি ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বারের নির্বাচনে ৮ বার কৃতিত্বের সহিত ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়ন, কালভাট, ব্রীজ, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, ঈদগাঁমাঠ সংস্কার করেছেন, গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছেন। ইউনিয়নের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তার উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি। নূরনগর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালত বসিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবদানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনও চলমান আছে। তিনি উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ নূরনগর আশালতা (বহুমুখী) মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর সভাপতি হিসেবে সফলতার সহিত দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিদ্যালয়টি নিয়ে গেছেন উচ্চতার চরম শিখরে। বিদ্যালয়ের মাঠটি তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও বৃক্ষপ্রেমী মনোভাবের কারণে সকলের প্রশংসায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি নূরনগর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স তৈরী করার জন্য জায়গা নির্ধারণ পূর্বক কমপ্লেক্স ভবনের জায়গাটি পুষ্প বৃক্ষ সমন্বয়ে সুসজ্জিত করেছেন। কমপ্লেক্সটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে এটি শ্রেষ্ঠ বিনোদনের স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তিনি নূরনগর বাজারকে সাজিয়েছেন নতুন আঙ্গিকে। তার ইউনিয়ন এবং তার পরিচিতি শুধু নূরনগর নয় উপজেলা-জেলা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি নূরনগর ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে তার সারা জীবন কাল ব্যয় করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সবশ্রেনীর মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন নূরনগর ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদ।