বিশেষ প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ডায়েরিয়ার রোগীর সংখ্যা গত এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড স্বল্পতার কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দা সহ বিভিন্ন স্থানে বিছিন্ন ভাবে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে শিশুরোগীরা ও তাদের স্বজনরা। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ৫ টি শিশু বেড রয়েছে, কিন্তু তার ২ টি বেড অতি পুষ্টিহীনতা রোগির জন্য বরাদ্দ, মাত্র ৩ টি শিশু বেড রয়েছে, এমনটি জানালো কর্মরত ডাক্তার ও নার্সরা। দেখা যায় গত এক সপ্তাহে ৫০/৬০ জন শিশু ডায়েরিয়া রোগী ভর্তি হয়। এর মধ্যে বেশ কিছু রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে গেলেও প্রতিদিন ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে, এমনটি জানালো জরুরি বিভাগের সহকারী চিকিৎসক সাকির হোসেন, তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন ডায়েরিয়া শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়তেই আছে।এ দিকে এ সকল ভর্তি শিশুদের চিকিৎসা দিচ্ছেন, ডাঃ নাজমুল হোসেন বলেন, বর্তমানে ডায়েরীয়া জনিত শিশু রোগীর চাপ খুব, তবে আমরা সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি, বেড স্বল্পতার কারনে শিশু রোগী ও তাদের স্বজনরা কষ্ট পাচ্ছে, চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের থেকে প্রায় সকল ঔষাধ সরবরাহ করা হচ্ছে, অধিকাংশ রোগীদের ৬/৭ দিন থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে, তার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ীতে গেলেও নতুন রোগীরা আবার ভর্তি হচ্ছে, এ সময় ডায়েরীয়ার প্রকোপ ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে লক্ষ মানুষের বসবাস, চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক মাত্র ভরসা হলো উপজেলা হাসপাতালটি, কিন্তু এ হাসপাতালে টিতে নেই কোন শিশু বিশেষজ্ঞ, তাছাড়া ৩৪ জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ৬/৭ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা, তবে সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের বেড না থাকায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রোগীদের থাকার ভবন পরিত্যক্ত ঘোষনা করায়, ইতিমধ্যে তৃতীয় তলায় রোগীদের থাকার জন্য সরকারি কাজ চলমান থাকলেও বর্তমানে কাজটি বন্ধ রয়েছে, হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হলে সাথে সাথে সাতক্ষীরাতে রেফার করা হয় এমন অভিযোগ সাধারন মানুষের দীর্ঘদিন ধরে। শ্যামনগর বাসী এর সমাধান চায়।