এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে ॥ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া বিভিন্ন মালামাল সহ বেশকিছু অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। গতকাল ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে উপজেলা সদর দাদপুর ও চন্ডিপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ৩টি বন্দুক, ১টি এসএমজি, ৫টি ম্যাগজিন ও ৬২ পিছ গুলি। একই সময়ে উপজেলার বাদঘাটা ও গোপালপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫টি মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য গত ৫ আগষ্ট রাতে একদল দুস্কৃতিকারী শ্যামনগর থানার দেয়াল ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ও থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় জীবন নিয়ে পুলিশ সদস্যরা কোনমতে পালিয়ে যাওয়ার পর ঐ সমস্ত দুস্কৃতিকারী থানার মালখানা থেকে পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্রের পাশাপাশি স্থানীয়দের জমাকৃত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় থানা ভবনের প্রতিটি কক্ষে অগ্নিসংযোগের পর দুস্কৃতিকারীরা গোটা ভবনসহ অফিসার ইনচার্জের বাসভবন ও পুলিশ সদস্যদের মেসে ব্যাপক লুটপাট চালায়। পুলিশের ফেলে যাওয়া অসংখ্য অস্ত্রসহ পর্যাপ্ত গুলি এবং মুল্যবান সব জিনিপত্র লুট করে। সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছেদ লুট করে দুষ্কৃতিকারীরা। এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফিরিয়ে দিতে দু’দিন ধরে এলাকাজুড়ে মাইকিং হচ্ছে। পুলিশের আহবানে সাড়া দিয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় সেসব অস্ত্র ও গুলি রেখে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, সরকারি এসব আগ্নেয়াস্ত্র হজম করা সম্ভব হবে না। বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকে সেসব অস্ত্র ও গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে যাচ্ছে। একটি ফ্রিজ ও আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েকটি মটরসাইকেলেরও সন্ধান মিলেছে। এদিকে ঘটনার তিনদিন পরও শ্যামনগরে পুলিশ কর্মকর্তা-সদস্যর উপস্থিতি মেলেনি। শুধুমাত্র উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো জমা নেয়ার জন্য পুলিশের কয়েকজন সদস্য বৃহস্পতিবার শ্যামনগর থানায় পৌছায়।