এফএনএস বিদেশ : শ্রীলঙ্কায় উদ্ধারকর্মীরা গতকাল বৃহস্পতিবার ছয় শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এতে প্রবল বর্ষণের কারণে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। অন্যদিকে শক্তিশালী, কিন্তু ধীরগতির ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কলম্বোর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণের কারণে তিন লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। প্রায় ১০০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং আরো এক হাজার ৭০০ বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের কারণে। ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য দুই লাখ ৭০০—এরও বেশি সামরিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে। ডিএমসি আরো জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় আমারা জেলায় একটি ট্রাক্টর ও ট্রেলারে ছয় শিশুকে বহন করার সময় তা বন্যার স্রোতে ভেসে যায়। ট্রাক্টরের চালক ও সহকারী এখনো নিখেঁাজ। তাদের খেঁাজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ—পশ্চিমাংশে একটি গভীর নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার ‘আশঙ্কা’ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলের হারিকেন বা উত্তর—পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের টাইফুনের সমতুল্য, যা এই অঞ্চলে একটি নিয়মিত ও প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। শ্রীলঙ্কার উপকূল বরাবর অতিক্রম করার পর এটি বর্তমানে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিলনাড়ু রাজ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি স্থানীয় সময় গত শনিবার সকালে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির উপকূলে ‘গভীর নিম্নচাপ’ হিসেবে আঘাত হানতে পারে। এ সময় সেখানে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে বৃষ্টিপাতজনিত বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রাণহানির ঘটনা সাধারণ হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে।