শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২২ পূর্বাহ্ন

শ্রীলঙ্কায় শেষ হয়ে আসছে খাদ্য ও জ¦ালানির মজুদ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২

এফএনএস বিদেশ : গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশব্যাপী কারফিউ জারি করা হয়েছে। গত বুধবার কারফিউ’র তৃতীয় দিনে দোকান, ব্যবসা এবং অফিস বন্ধ ছিল। আরেকজন বিক্ষোভকারী গত বুধবারের প্রেসিডেন্টের ভাষণের পর বিবিসিকে জানান, গত ৩০ দিন আপনি কোথায় ছিলেন? মানুষের কাছে ওষুধ নেই, মানুষের খাবার নেই, পুরো দেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। তিনি যে সংস্কারের পরামর্শ দিচ্ছেন তা আমাদের প্রয়োজন নয়। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করা আমাদের এই মুহূর্তে যা প্রয়োজন বলে জানায় এ বিক্ষোভকারী। দেশব্যাপী কারফিউ থাকা সত্তে¡ও সরকারবিরোধীরা পরপর দুই রাত বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করেছে। অনেকে রাজাপাকসে এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদদের সম্পত্তিকে লক্ষ্য করে হামলাগুলো করেছে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ছেলের মালিকানাধীন একটি রিসোর্ট ও কলম্বোর কাছাকাছি দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজাপাকসে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির বড় ভাই এবং দুইবারের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, নিজের নিরাপত্তার জন্য উত্তর-পূর্বে একটি নৌ ঘাঁটিতে লুকিয়ে আছেন বলে সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে। গত মাসে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে তার প্রথম জাতীয় ভাষণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। পদত্যাগের আহŸান উপেক্ষা করে, তিনি সংসদে কিছু ক্ষমতা হস্তান্তর করার এবং একজন প্রধানমন্ত্রীর নাম দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু কোন সময়সূচি নির্ধারণ করেননি। ক্রমবর্ধমান দাম এবং ঘাটতি নিয়ে চলমান ক্ষোভের মধ্যে তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর থেকে সঙ্কট মোকাবেলায় অব্যাহত বিক্ষোভের মধ্যে সম্পদের ক্ষতিকারীদের গুলি করার নির্দেশ দিয়ে শ্রীলঙ্কা জুড়ে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গত সোমবার থেকে চলমান সহিংসতায় দেশটিতে অন্তত নয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গোটাবায়া রাজাপাকসের ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার দাবি করছে। বিরোধী রাজনীতিকরা সতর্ক করেছেন, সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের অজুহাত দিতে সহিংসতা বিস্তারের নাটক করা হতে পারে। রাস্তায় সাঁজোয়া যান সহ বিপুল সংখ্যক সৈন্যের উপস্থিতির দ্বারা সম্ভাব্য অভ্যুত্থানের গুজব উস্কে দেওয়া হয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী এ ধরনের কোনো পদক্ষেপের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে। প্রতিরক্ষা সচিব কমল গুনারতেœ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “যখন দেশে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন তা মোকাবেলার জন্য সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়।” “কখনো ভাববেন না যে আমরা ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছি। সামরিক বাহিনীর এমন কোনো উদ্দেশ্য নেই।”

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com