দৃষ্টিপাত ডেস্ক \ দেশের আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর কোন কোন মহল দেশের আইন শৃঙ্খলা তথা স্বাভাবিকতাকে খন্ড বিখন্ড করার অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিল। গত পনের বছরের নির্যাতিত, নিগৃহীত বিএনপির ও জামায়াত নেতৃবৃন্দ দলীয় নেতাকর্মীদেরকে প্রতিশোধ পরায়ন না হওয়ার আহ্বান জানান। অতি উৎসাহীদের তান্ডব জাতি প্রত্যক্ষ করেছিল, আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুস অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী নেতৃত্বাধীন সরকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে তৎপর থাকে এবং নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র চক্রান্ত, সর্বপরি অদৃশ্য অশুভ শক্তির অদৃশ্য ছায়া চক্রান্তের ডালপালা যেন বিস্তৃত করতে চাইছিল যার ধারাবাহিকতা বর্তমানে ও বিদ্যমান আর এ জন্য সংশিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল এই অন্তবর্তীকালীন সরকার আর তাই কোন অবস্থাতেই এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। আনসার সদস্যদের কথিত আন্দোলন, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার আন্দোলন ও দাবী, ব্যাটারী চালিত রিক্সাচালকদের দাবী, শিল্প অঞ্চল ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী অশান্ত করার হীন প্রচেষ্টা সবই পতিত সরকারকে উৎসাহীত করার অপচেষ্টা কি না সেটা ইতিমধ্যে অনুধাবন করেছে দেশবাসি। পুলিশ প্রশাসন অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নৈদনন্দিন কর্মযজ্ঞের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং যানজট নিরসনে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকাও রেখে চলেছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যরা অতীতের ন্যায় বর্তমান সময়েও নিরলসভাবে মাঠে থেকে কাজ করছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় আয়োজন দুর্গোৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স¤প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যাচার প্রচারনা এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন প্রচেষ্টা চলেছে। অথচ এই দেশ স¤প্রীতির অবাধ লীলাক্ষেত্র, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলে কিছু থাকার কথা নয়। সকলেই এদেশের সন্তান এই মাটি আলেঅতে বেড়ে ওঠা, বিধায় সংখ্যালঘু নির্যাতন এর ধোয়া যারা উত্তোলন করে তারা বাংলাদেশেল ভাল চায় না। অতি স¤প্রতি নদীতে জাহাজে সাত হত্যা, জ্বালানীবাহী জাহাজে অগ্নিকান্ড বিষয়গুলো বিচ্ছিন্ন হলেও বিশেষণের বিষয়। নাশকতা এবং ষড়যন্ত্রের কোন ক্ষেত্র থাকে না। যে কোনভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্রের জাল বপন করতে পারে। প্রতিবেশী দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহ্যগত এবং ঐতিহাসিক কিন্তু বাস্তবতা হলো তাদের এক শ্রেণির মিডিয়া পত্রিকায় এনেছে অন্তত ৯৫টি মিডিয়া বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারনা চালিয়েছে বা চালিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্যগতভাবে দেশ দুটির বন্ধুত্ব হতে হবে তথা সরকার টু সরকার তথা জনগণ টু জনগণ। কোন বিশেষ দল বা বিশেষ নেতৃত্বের সাথে নয়। বাংলাদেশের জনসাধারণ বর্তমান সময়গুলো আর্শীবাদ হিসেবে দেখছে। কারণ অন্তবর্তীকালীন সরকার সত্যিকার অর্থে দেশের সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে। দলীয় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়। দেশবিরোধী চক্রান্ত, অনিয়ম দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থাপনা, স্বাচ্ছতা, জবাবদীহিতার ক্ষেত্র বির্নিমানের এখনই সময়। বিধায় ষড়যন্ত্রকারীরা, মহলবিশেষ, সর্বপরি দেশ বিরোধী চক্র চাইবে এই সরকারকে ব্যর্থ করতে। এই সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল ব্যর্থ হবে। বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে। এবং পতিত ফ্যাসিস্ট ও তাদের অন্তরাত্মারা তৃপ্তির ঢেকুর তুলবে। ছিনতাই, ডাকাতি, রাজনৈতিক ডামাডোল, সংঘাত, জ্বালাও পোড়াও নেই। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা নেই। কিন্তু বিশৃঙ্খলা, নাশকতা ঘটতে বা ঘটাতে যে ষড়যন্ত্রকারীরা ওৎপেতে নেই সেটাও ভাবনার বিষয়। বিধায় সাবধনতা, সতর্ক সেই সাথে সংশিষ্ট সকলকে স্ব স্ব দায়িত্ব দক্ষতা বিচক্ষণতার সাথে পালন করতে হবে।