বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জিয়া স্মৃতি ভলিবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে মৃত্যুর চার মাস পর কবর থেকে গৃহবধুর মরদেহ উত্তোলন দেবহাটায় জামায়াতের আয়োজনে কুরআন শিক্ষায় মুহাদ্দিস রবিউল বাসার উচ্চতায় পৌছানো রুপসী ম্যানগ্রোভ দেবহাটা পর্যটন কেন্দ্র আলো ঝলমলে দ্যুতি ছড়ানো সৃষ্টিশীলতার অনন্য ক্ষেত্র কুলিয়ার টিকেট কালীপূজা পরিদর্শন করলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভোমরায় টাস্কফোর্সের অভিযানে ৩ টন রসুন উদ্ধার সহ লাখ টাকা জরিমানা খলিশখালী সচেতনতামূলক নারী সমাবেশ বাস্তবায়ন সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিল জেলা পুলিশ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শিবিরের ফ্রী ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে মহান বিজয় দিবস পালিত

সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী \ সংক্রমণ প্রতিরোধে অনুমোদনের আগেই টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

ঢাকা ব্যুরো \ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে করোনার টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার আগে থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা দেওয়ার বিষয়ে সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। তারই ফলস্বরূপ দেশব্যাপী ২০২১ সালের ৭ ফেব্র“য়ারি কোভিড বিনামূল্যে টিকা কার্যক্রম শুরু হয় এবং অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে এতথ্য জানান তিনি। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম (টিটু)’র এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানান, দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের আওতায় ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে দ্বিতীয ডোজসহ সর্বমোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। একই প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা জানান, সারাবিশ্বের মতো দেশের কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে, বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্র“প, বাংলাদেশ (এনআইটিএজি, বি) এর সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী গত ২৮ ডিসেম্বর হতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ও সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বর্তমানে দেশব্যাপী প্রায় ৭১৮টি স্থায়ী কেন্দ্রে, ৬ হাজার ৫৮টি অস্থায়ী / ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে এবং ১৩ হাজার ৯৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে (ক্যাম্পেইন চলাকালে) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আগামী মার্চের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যে বর্তমানে ওয়ার্ড পর্যায়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান। স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে নৈরাশ্যবাদীদের সকল ভ্রান্ত ধারণাকে অমুলক প্রমাণ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উলে­খ করেছেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। সরকারী দলের সদস্য মমতাজ বেগমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার পর তাঁর সরকার বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বৈশি^ক বাণিজ্য ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রপ্তানি বাজার স¤প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার প্রেফারেন্সিয়াল মার্কেট অ্যাক্সেস এন্ড ট্রেড এগ্রিমেন্ট বিষয়ে কৌশলপত্র এবং সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ। এলক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে ১০টি দেশ ও ৩টি জোটের সাথে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, জাপান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা, চীন, মালয়েশিয়া এবং আশিয়ান অর্থনৈতিক জোট, মার্কোসর জোট ও ইউরেশিয়া অর্থনৈতিক জোট। এছাড়া তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, মরিশাস, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, সিয়েরালিওন, কেনিয়া ও জিসিসিভুক্ত দেশের সাথে পিটিএ / এফটিএ / সেপা নেগাশিয়েশন কার্যক্রম পরিচালনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি ডব্লিওটিও’তে উত্তরণকারি দেশগুলোর জন্য যাতে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্স (আইএসএম), বিশেষ করে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ও বিভিন্ন ডব্লিওটিও থেকে অব্যাহতি সুবিধা, বেশ কয়েক বছরের জন্য উত্তরণের পরও অব্যাহত থাকে সেজন্য বাংলাদেশ এলডিসি গ্র“প এর মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উলে­খ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com