জিএম শাহনেওয়াজ ঢাকা থেকে \ সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর প্রচার হবে একমঞ্চে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই ব্যবস্থা করবে। প্রার্থীদের নামের অদ্যাক্ষর অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে চলবে প্রচার। নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং বজায় রাখতে ইসির পরিকল্পনা। সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে কমিশনের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করছে গঠিত কমিটি। তবে, পৃথক পথসভা, জনসভা কিংবা পোষ্টার নিষিদ্ধ। শুধু উঠান বৈঠক হলেও সর্বোচ্চ ৫জন উপস্থিত থাকতে পারবে। এছাড়া ভোটার ি¯¬পও কমিশন চকিদার—সফাদও দিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছাবে, যা রাষ্ট্রীয় খরচে। তাছাড়া নির্বাচনকালিন সময়ে অন্তবর্তীকালিন বা কেয়ারটেকার সরকারের সময়, উপদেষ্টা মন্ডলী শব্দাবলী নতুন আচরণ বিধিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। আর রাজনৈতিক দলের ম্যানুফেস্টু ইসিকে সরবরাহ করবেন; কমিশন স্বউদ্যোগে সেগুলো বই আকারে তৈরি করে ভোটার ও স্থানীয় জনগনের মাঝে প্রচার করবেন। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও নিয়ন্ত্রনে আচরণ বিধিতে পৃথক ধারা সংযোজন করবে করছে ইসি। সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র এটা নিশ্চিত করেন। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা আছে। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন এটি সংশোধন করে নতুন আচরণবিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। একটি চমৎকার আচরণবিধিমালা হবে বলে তাঁরা আশা করছেন। তিনি বলেন, লেভেল পে¬য়িং ফিল্ডসব প্রার্থী সমানভাবে প্রচার—প্রচারণা করতে পারবে, সে ধরনের অ্যাটিটিউড (মনোভাব) নিয়ে আমরা সূত্র জানায়, নির্বাচনে প্রভাবশালী প্রার্থীদের ক্ষমতার প্রভাব, ব্যয় নিয়ন্ত্রন ও কালোটাকার দৌরাত্ন্য কমানোর জন্য এ উদ্যোগ। সেখানে, আচরণ বিধিতে প্রচারের ক্ষেত্রে সংসদীয় আসনের যতগুলো ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন থাকুক প্রত্যকটি ইউনিয়ন, পৌর ও সিটির নিদিষ্ট স্থানে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ তৈরি করবে ইসি। ওই মঞ্চে প্রার্থীরা তাদের নামের আদ্যাক্ষর অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে এসে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়ে যাবেন। এর আগে কমিশন থেকে একটা পাইলটিং করবেন। একটি উপজেলায় বা সংসদীয় আসনে ১২টি ইউনিয়ন থাকলে নির্বাচনী মঞ্চ হবে ১২টি। এমনকি রাজনৈতিক দল কোনো পোষ্টার ছাপাতে পারবেন না। প্রচারের লিফলেট ইসির নির্বাচিত এলাকায় বিতরণ ও প্রচার চালাতে পারবেন। জনসভা, পথাসভা নিষিদ্ধ হলেও প্রার্থীরা সীমিত পরিসরে উঠান বৈঠক করতে পারবেন। এ বৈঠকে সর্বোচ্চ জন—সমাগম হবে ৫জন। এছাড়া নির্বাচনের আগে সরকার গঠন করলে কি ধরণের কাজ করবেন তার একটি আগাম প্রতিশ্রম্নতি ঘোষণা দিয়ে থাকেন রাজনৈতিক দলগুলো; যাকে নির্বাচনী ম্যানুফেস্টু বলা হয়। এটিও রাজনৈতিক দলকে প্রচার করা লাগবে না। কমিশন নিজ খরচে ভোটার ও স্থানীয় জনগনের মধ্যে প্রচার চালাবেন। নির্বাচনে ভোটার ি¯¬প তৈরি এবং সেগুলো বিতরণে প্রার্থীদের প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর ব্যয় নিয়ন্ত্রনের জন্য ি¯¬প বিতরণের কাজটিও কমিশন তাদের খরচে স্থাণীয় চকিদার—সফাদারদের সহায়তায় ভোটারদের কাছে পৌছানোর ব্যবস্থা করবেন। সবাইর জন্য প্রচারে সমান সুযোগ রাখতে নির্বাচনী প্রচারের নিয়ন্ত্রন করতে চাইছে ইসি। আরপিও’র ৪৪ক অনুচ্ছেদে নির্বাচনী ব্যয় প্রার্থী বিভিন্ন উৎস থেকে নিতে পারতেন। এখন এই ধারায় প্রার্থীর বদলে ইসি শব্দাবলী যুক্ত হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের বিষয়টিও যাতে ‘নিয়ন্ত্রণের’ মধ্যে থাকে, সে বিষয়টিও প্রস্তাবিত খসড়ায় রাখা হয়েছে বলে জানান আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ কঠোরতা যেন নিশ্চিত করা যায়, সে জন্য এ—সংক্রান্ত শাস্তির বিধান খসড়ায় থাকছে।