শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি করলেন মডেল মেঘনা বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু রোববার আবার বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী খেলোয়াড় দেবহাটার ঘরে ঘরে ছাগল পালন বাণিজ্যিক ভাবে চলছে চাষ \ খামার দেখভালে এগিয়ে মা বোনেরা শ্যামনগরে পরীক্ষায় নকলের দায়ে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার দায়িত্বহীনতায় ১২ শিক্ষক অব্যাহতি মাহফিলের টাকা গ্রহণ করে বক্তা না আসায় আদালতে মামলা

সঙ্গী পরকীয়ায় ঝুঁকেন ৭ ধরনের সমস্যায়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: পরকীয়ার সমস্যা বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে। তারকাদের মধ্যেও যেমন পরকিয়ার ঘটনা ঘটছে ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষের দিক থেকেও থেমে নেই এই চর্চা। পরকীয়ার সম্পর্ক কেউই ভালোভাবে দেখে না।
অথচ পরকীয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকে ব্যক্তিগত নানা কারণ। সে খবর অনেকেই রাখেন না। জেনে নিন কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে মানুষ জড়িয়ে পড়তে পারেন পরকীয়া সম্পর্কে-
১. অনেকেরই অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। ফলে ওই বয়সেই সামলাতে হয় সংসারের দায়িত্ব। ফলে জীবনকে সেভাবে তারা উপভোগ করতে পরেন না। ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত জীবনে স্থায়িত্ব আসার পর তাই অনেকেই পরকীয়া প্রেমের স্বাদ নিতে চান।
২. জীবনে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরেও অনেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যের অসুস্থতা, কারও মৃত্যু, চাকরি চলে যাওয়া, আর্থিক অনটনে অনেকে পরিবারের বাইরে মুক্তির পথ খোঁজেন। এ সময় পরিচিত কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা একেবারেই বিরল নয়।
৩. অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় অভিভাবকের চাপে পড়ে বিয়ে করেন। অথচ ওই পাত্র বা পাত্রী তার পছন্দ নয়। বিয়ের পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন তারা। তখন কারও সঙ্গে হঠাৎ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
৪. বিয়ের আগে বা বিয়ের সময় অনেকেই নিজেদের জীবনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন না। একসঙ্গে পুরো জীবন কাটাতে হলে একে অপরের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা ও বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দু’জনের জীবনের গুরুত্বের জায়গাগুলো আলাদা। সেখান থেকে শুরু হয় দাম্পত্যে কলহ। আর এ কারণে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে যে কেউই।
৫. স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে ১০০ ভাগ মিল থাকবে না নিশ্চয়ই! সংসারে দুজনকে মানিয়ে নিতে হয়, এতে সম্পর্ক ভালো থাকে। তবে দুজন দুই মেরুর মানুষ হলে ওই সংসারে অশান্তি লেগে থাকাটাই স্বাভাবিক।
এ কারণে অনেকেরই অভিযোগ থাকে, ‘আমাদের কিছুই মেলে না’। এভাবে চলতে থাকলে দাম্পত্যে দুরত্ব বাড়ে ও সঙ্গী পরকীয়ায় ঝুঁকতে পারেন।
৬. পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অন্যতম বড় কারণ বৈবাহিক জীবনে যৌন অতৃপ্তি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরকীয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকে এই কারণ।
৭. দাম্পত্য সম্পর্কে উত্তেজনার অবসান ঘটলেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারেন সঙ্গী। সম্পর্ক দীর্ঘদিনের হলে তাই দুজন দুজনকে সময় দেওয়া জরুরি। না হলে একঘেয়ে হয়ে ওঠে।
প্রতিদিনের জীবনের বাইরে অনেকে উত্তেজনা খুঁজে নিতে চান। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে সেভাবে বড় কোনো সমস্যা না থাকলেও শুধু উত্তেজনা খুঁজতে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com