এফএনএস: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মেধা-মননে উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম একটি জাঁতি গঠনে সব মানুষের জন্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হোক জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে আমাদের সবার অঙ্গীকার। আজ বুধবার জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উলেখ করেন। রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়; তেমনি অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে দেহে ক্যান্সার, কিডনি রোগ ও বিকলাঙ্গতাসহ অনেক রোগ বাসা বাঁধে। নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ খাদ্য উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরো বেগবান করা জরুরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত ১৩টি বিধিবিধান তৈরি করে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নজরদারি এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভ‚মিকা রাখবে। আবদুল হামিদ বলেন, সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্তি, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ সকল কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অভীষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে ইতিবাচক ভ‚মিকা পালন করবে। তিনি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।