এফএনএস বিদেশ : শ্রীলঙ্কায় চলমান সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে বিরোধীদের সরকারে যোগ দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ চালানোর আহŸান করেছেন। শ্রীলঙ্কায় কারফিউ উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে জনগণ। বিরোধীরাও সে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল। তুমুল জনরোষের মুখে গতকাল শ্রীলঙ্কা সরকারের ২৬ মন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর পরেই ‘জোট সরকারের’ প্রস্তাব এলো গোটাবায়া রাজাপাকসের পক্ষ থেকে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। এর জেরে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে জনগণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করেও লাভ হয়নি। কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ। বিরোধীরাও সে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল। তবে, এবার বিরোধীদের সরকারে যোগ দেওয়ার আহŸান জানালেন প্রেসিডেন্ট। তবে, এ আহŸানে সাড়া দেবে কি না, তা এখনও জানায়নি বিরোধীরা। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপরও জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে, নিষেধাজ্ঞা জারির ১৩ ঘণ্টা পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। এদিকে, নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিতে নাজেহাল মানুষের রোষের মুখে গতকাল গভীর রাতে পদত্যাগ করেন শ্রীলঙ্কার ২৬ জন মন্ত্রী। তবে, প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেননি। এ ছাড়া পদত্যাগ করা মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে, প্রেসিডেন্ট বিরোধীদের সরকারে যোগ দেওয়ার আহŸান জানানোয় ধারণা করা হচ্ছেÑনতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। বেশ কিছু দিন ধরেই শ্রীলঙ্কাবাসী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে জনসাধারণ। সে বিক্ষোভ সহিংস রূপও নিয়েছে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘গোটা গো হোম’ (গোটাবায়া বাড়ি যাও)-সহ নানা ধরনের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘ভুয়া খবর’ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় শ্রীলঙ্কায়। এর বিরুদ্ধে সরব হন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ছেলে এবং মন্ত্রিসভার সদস্য নামাল রাজাপক্ষে। তিনি নিজেও গতরাতে পদত্যাগ করেন।