দৃষ্টিপাত ডেস্ক \ শরীয়তপুর জেলা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান কবি শেখ মফিজুর রহমান বলেছেন, সরকার বিনা খরচে সব শ্রেনীর মানুষের জন্য লিগ্যাল এইডের সেবা গ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কেবলমাত্র দুঃস্থ, অসহায়, অভাবী বা গরীবদের জন্য নয় সমাজের ধনী শ্রেনিরাও সরকারী (লিগ্যাল এইড) সেবার অন্তর্ভূক্ত। বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি বিরোধ মিমাংসায় ভূমিকা রেখে চলেছে লিগ্যাল এইড। সরকারের এই জনবান্ধব কার্যক্রমে শরিয়তপুর লিগ্যাল এইড নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন শরীয়তপুরের প্রতিটি অঞ্চল, প্রতিটি প্রান্তে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমকে পৌছে দিতে শরীয়তপুর লিগ্যাল এইড নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতিমধ্যে জেলা ব্যাপী সাড়া ফেলেছে, সেবা গ্রহীতা লিগ্যাল এইড অফিস মুখি হচ্ছে। সর্বস্তরের মানুষ সরকারী ভাবে আইনী সুবিধা পাচ্ছে, আইনজীবী নিয়োগে, মামলা দায়েরে বা বিরোধ মিমাংসায় কোন অর্থ খরচ হয় না এই প্রচার প্রচারনায় ধর্মীয় নেতাদের কাঙ্খিত ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি গত ১৭ জুন শনিবার শরীয়তপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিস এর উদ্যোগে পালং হরিসভা জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির, পালং শরীয়তপুরের সহযোগিতায় জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিত বৃন্দের অংশ গ্রহনে পালং হরিসভা জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির, পালং সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) বিষয়ক এক উদ্বুদ্ধকরন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন, তিনি আরও বলেন শরীয়তপুর লিগ্যাল এইড অফিস বিশেষ শ্রেনি বা ধর্মের মানুষের বিনা খরচে কেবল আইনগত সেবা দিচ্ছে না সকল শ্রেনী, বর্ণ সব ধর্মের মানুষের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করে চলেছে, সেবা প্রদান করছে। তৃনমূলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে পুরোহীতগন সরকারি সেবার বিষয়টি প্রচার করতে পারেন এবং জন সাধারনকে উদ্বুদ্ধ করনে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি পুরোহীতগণকে সমাজের আলোক বর্তিকা হিসেবে উলেখ করে বলেন আপনারা সমাজের অনন্য শক্তি, আপনারা জন সাধারনের কাছাকাছি অবস্থান করেন বিধায় সরকারের মহা উদ্যোগ বিনা খরচে আইনগত সুবিধা পাওয়ার মাধ্যম লিগ্যাল এইড এর মাধ্যমে জনগন সেবা নিতে পারেন সে বিষয়টি আপনারা জনগনকে জানাতে পারেন এবং আগ্রহী করতে পারেন। পালং হরিসভা জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির, পালং শরীয়তপুরের সভাপতি শ্রী অনিক ঘটক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিজ্ঞ সহকারী জজ মোঃ সালাহউদ্দীনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো: খালেদ মিয়া, সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনায় অংশ নেন শরীয়তপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ, মন্দির সমিতির নেতৃবৃন্দ, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহীত গন।