বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সখিপুর ইউনিয়নে তারুণ্যের ভাবনা বিষয়ক কর্মশালা “মাসজিদে কুবা” নামাজ আর ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মানবতার মনোমুগ্ধতার উচ্চতায় দেবহাটার পাঁচটি ইউনিয়নে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ আশাশুনি তথ্য অধিকার বুথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রশিক্ষণ সম্পন্ন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ নূরনগরে জামায়াতের সেটআফ প্রোগ্রাম ও মতবিনিময় শীতার্তদের মাঝে জামায়াতের কম্বল বিতরণ

সরকারি স্কুলে ৫৯ শতাংশ আসনে কোটায় ভর্তি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

এফএনএস: সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তির লটারি উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ বছর সারাদেশে ৫৪০টি সরকারি বিদ্যালয়ে এক লাখ সাত হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে মোট ছয় লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি আবেদন জমা পড়ে। সেই হিসাবে প্রতি আসনে আবেদনকারীর সংখ্যা ৫ দশমিক ৮৪। সরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫৯ শতাংশ আসনই এবার কোটায় বরাদ্দ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে ৪১ শতাংশ আসনে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ কিছুটা সীমিত হলো। বিশেষ করে শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাওয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ হলো। ক্যাচমেন্ট এরিয়া (নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী এলাকা), মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ড, এনটিআরসিএ, মাউশি ও অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরতদের সন্তানসহ সব মিলিয়ে ৫৯ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে সরকারি স্কুলের ভর্তিতে। স¤প্রতি এই কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে। সরকারি স্কুলে ভর্তিতে কোটা সংক্রান্ত নীতিমালায় দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার কিংবা তাদের ছেলে বা মেয়ের পরিবারের সন্তানরা পাঁচ শতাংশ কোটা সুবিধা পাবে। একই সঙ্গে ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় বসবাসরত শিক্ষার্থীরা কোটা সুবিধা পাবে ৪০ শতাংশ। মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরতদের সন্তান পাবে ২ শতাংশ কোটা। একইসঙ্গে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীরাও পাবে ২ শতাংশ কোটা। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। সব মিলিয়ে মোট আসনের শতকরা হিসেবে ৫৯ শতাংশ আসন বিভিন্ন কোটায় চলে যাচ্ছে। বাকি ৪১ শতাংশ আসনের বিপরীতেই কেবল সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য মেধার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ কোটার সংখ্যা কমানো যায় কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ক্যাচমেন্ট এরিয়া কমানো তো দূরে থাক, বরং ক্যাচমেন্ট এরিয়া আরও বাড়ানো উচিত। সারা দুনিয়াতেই শিক্ষার্থীরা কিন্তু ক্যাচমেন্ট এরিয়া থেকেই আসে। তার কারণ হচ্ছে একটি এলাকায়, আমার এখানে একটা স্কুল আছে, আমি যদি আশপাশেই থাকি, তা যেমন শিক্ষার্থীর জন্য ভালো, শহরের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের জন্যও খুব ভালো। পৃথিবীর সব দেশেই আছে যে, লোকে একটি স্কুল দেখে বা কোন জায়গায় তার সংস্থান করবে, তা দেখেই তারা বাড়ি ভাড়া নেয়। শিক্ষার্থীদের চাহিদার বিপরীতে ৫৪০টি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কম নয় কি- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ইউনিক। এখানে মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম। প্রাথমিক তো সবই সরকারি, ইংরেজি মাধ্যম বাদ দিলে। আর মাধ্যমিকে বেশিরভাগ হচ্ছে বেসরকারি। খুবই কম হচ্ছে সরকারি। কিন্তু যেগুলো বেসরকারি, সেখানে ব্যবস্থাপনাটাই শুধু বেসরকারি। বাকি সবকিছু যদি দেখেন, আমরা তাদেরও বই দিচ্ছি বিনামূল্যে, সেখানে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে, সেখানে শিক্ষক প্রশিক্ষণ সরকার দিচ্ছে, সেখানে অবকাঠামো সরকার নির্মাণ করে দিচ্ছে, শিক্ষকদের এমপিও দেওয়া, সবই কিন্তু সরকার করছে। দীপু মনি আরও বলেন, আমাদের এখানে পাবলিক-প্রাইভেট একটি পার্টনারশিপ যেভাবে চলে, তা পৃথিবীর আর কোথাও কিন্তু নেই। তা এখন পর্যন্ত চলছে এবং খুব ভালো চলছে অনেক ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে আমাদের বেসরকারি স্কুলও ভালো করছে, সরকারি স্কুলও ভালো করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com