খুলনা প্রতিনিধি ॥ লাগাতার অভিযান দিয়ে ও নিয়ন্ত্রণে আসছে না খুলনা অঞ্চলের বাজার গুলো। বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে ভোগ্য পণ্য। অভিযানে মিলছে অবৈধ ভাবে মজুত রাখা গুদাম গুলো। অধিক মুনাফার আশায় লাইসেন্স ছাড়া ব্যাবসায়ী ও নানা ধরনের অপরাধের তথ্য। সরকারের নির্ধারণ করা পণ্যের মুল্য মানা হচ্ছে না। যেমন ডিম প্রতি পিচ ১২ টাকা নির্ধারিত বিক্রি করছে ১৩ টাকা, আলুর নির্ধারিত মৃুল্য ৩৪ -৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করলে ও বিক্রি করছে ৮৫-৯০টাকা বর্তমান কাঁচা তরকারির দাম ও লাগাম ছাড়া। সবিনতেলের মুল্য,১৬৯ টাক নির্ধারণ করা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। প্রতিটি নির্ধারিত পণ্য বেশী দামে বিক্রি করছে, এতে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা মহানগর সহ জেলার অনেক গুলো বাজার ঘুরে দেখাগেল সকল বাজারের একই অবস্থা। খুচরা ব্যাবসায়ীরা জানান। পাইকারি বাজারে পন্যের দাম বেশি আমরা কমে কি করে বিক্রি করবো। গল্লামারী বাজারের একজন ক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানায় ১ কেজি আলু ৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হলো। নিত্যপ্রজনিয় জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে, এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে, তেল থেকে শুরু করে সবজির দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে অচিরেই অনেকে অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাতে হতে পারে। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলেন। আমদানি করে কিছু পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে বাজারের প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার সংগে সঙ্গে বাজার জুড়ে বাজারের নজরদারি রেখে সেন্টিগেটের কাজ সাজিতে রুখে দাড়াতে হবে। মুলত কিছু পণ্যের দাম বেধে দেওয়ায় ব্যাবসায়ীদের তা মানতে অনিহা ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন। একের পর এক অভিযান চালিয়ে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করে ও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ বিষয় অর্থবিদ অধ্যপক এম আবু ইউসুফ বলেন। সরকারের তেমন যদি সদিচ্ছা থাকে যেমন এখন কিন্তু সরকার ঠিকই দাম নির্ধারণ করে দিতে পেরেছে তবে তা হয়তো ব্যাবসায়ীরা এখন ও মেনে নিতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে ব্যাবসায়ীরা মানতে বাধ্য হবে যদি বাজার অভিযান অব্যহত রাখে।