এফএনএস: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি কোনোভাবেই নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ঘটানোর বিকল্প কোনো পথ নেই। এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে, নতুবা নয়। গতকাল শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় সরকারবিরোধী চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১৮ মার্চ সারাদেশের সব মহানগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার খায়েশ হয়েছে। তাই তারা নীল নকশার মাধ্যমে ২০২৪ এর নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। ক্ষমতাসীনরা নতুন করে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো শুরু করেছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা গ্রেপ্তার, মামলা দিয়ে দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। সরকার দেশকে আজ নরকে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণ, চট্টগ্রামে ও সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে। দুর্নীতির কারণে সরকারের উন্নয়নের ফানুস চুপসে গেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করছে। জনগণকে জিজ্ঞেস করলে তারাও বলবে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। বিএনপির আন্দোলনে সরকার উসকানি দিচ্ছে ও তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে দাবি করে ফখরুল বলেন, অতীতে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৩ দিন সহিংস আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেখে সরকারের গায়ে জ¦ালা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার চক্রান্ত শুরু করেছে। পঞ্চগড়ে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা, গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। বিএনপি সংঘাতে যেতে চায় না জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন। নতুবা বিএনপির আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে, এর মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। যেদিন বিএনপির কর্মসূচি, সেদিনই নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। সরকারবিরোধী চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১৮ মার্চ সারাদেশের সব মহানগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতি। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ঘটানোর বিকল্প কোনো পথ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো ভাবেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহŸায়ক আবদুস সালাম। সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।