ঢাকা ব্যুরো \ সরকার ও মিল মালিক একে অপরের পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশ অটো মেজর এ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিল মালিকেরা কখন, কোথায় এবং কতটুকু চাল বিক্রি করেন তারা (মিল মালিক) ছাড়া কেউ জানে না। খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে সরাসরি মিল মালিকদের উপরে দায় চাপিয়ে পার পেয়ে যায়। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ খন্ডন না করে আপনারা (মিল মালিক) চুপ করে থাকেন, কোন প্রতিবাদ করেন না। এর ফলে সবার মধ্যে ধারনা কাজ করে যে মিল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ওয়েব সাইটে ও মিলগেটে বিক্রিত চালের মূল্য দুশ্যমানভাবে টাঙিয়ে রাখলে খুচরা বিক্রেতা মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে চালের দাম বাড়িয়ে মুনাফা আদায় করে নিতে পারত না। চুক্তি করেও যারা সরকারি গুদামে চাল সরবারহ করতে পারেনি তারা যদি যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন, তাহলে তাদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করা হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, চাল প্রকিউরমেন্টে প্রক্রিয়ায় সরকারকে যারা সহায়তা করছে এবং যারা করছে না উভয়ের বিষয়টি একভাবে দেখা হবে না বলেও হুশিয়ারী দেন খাদ্যমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১১ টি মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় । সেখানে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এটা করা হয়। বোরো সংগ্রহে ধান চালের দাম ঠিক ছিলো উলেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে কারনে কৃষক নায্যমূল্য পেয়েছে প্রকিউরমেন্ট ও শতভাগের বেশি হয়েছে। আমন সংগ্রহের সময়ে ডিজেল, সার ও বিদ্যুতের দাম বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। সংগঠনের সভাপতি মো: আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু,খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন। সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বাজারে মিনিকেট নামে চাল নেই। অনেকে বলেন মিলাররা চাল কেটে সরু করেন। এটা সত্য নয়। চাল সরু করতে গেলে ভেঙ্গে যায়। তবে বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে পোলিশ করে চকচকে করা হয়। এ সময় তিনি ধান চালের দাম নির্ধারণে মিলারদের প্রতিনিধি রাখার অনুরোধ জানান। খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, মিলারদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোক্তাদের কাছে জানিয়ে দিতে হবে যে, – মিলগেটে আজ কত টাকা দামে চাল বিক্রয় হলো। তাহলে খুচরা বিক্রেতা যে দাম বাড়ানোর জন্য মিলারদের দোষ দেয়, – সেটা থেকে মিলাররা মুক্তি পাবে।