বিষ্ণুপুর প্রতিনিধি \ কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া সরিষা ফসলের মাঠ। পৌষের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল।এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্য। দেখে যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণ সাজে। গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর, পারুলগাছা, চাঁচাই, শ্রীধরকাটি, সহ বিভিন্ন মাঠে পৌষের শেষ সময়ে সরিষা ফুলের সমারোহ ছড়াচ্ছে। নজরকারা হলুদের সমারোহ দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে সৌন্দর্য পিপাসুদের মনে। শীতের শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো বিষ্ণপুরে প্রতিটি মাঠজুড়ে কেবল চোখে পড়ছে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহে। এই শীতের শিশির ভেজা সকালে সরিষার সবুজ গাছের ফুলগুলো শীতের সোনাঝরা রোদে যেন ঝিকিমিকি করছে। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্য। যেদিকে তাকায় শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ ধাঁ—ধাঁলো বর্ণীল সমরাহ। মৌমাছির গুনগুন শব্দে শরিষা ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পন এ অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনো মুগ্ধকর এক মূহুর্ত। ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রোদ ছুঁয়ে যায় সেই ফুলগুলোকে। সরিষা চাষী নজরুল ইসলাম বলেন আমন ধান ঘরে তোলার পরই ওই জমিতে সরিষা চাষাবাদ করে থাকি। বিষ্ণুপুর লিডফার্মার আঃ করিম বলেন আমন ধান ওঠার পর ইরি বোরো ধান রোপণের আগে জমি অলস পড়ে থাকে। এ সময়ে সরিষা চাষ করা হয়। ফলে একদিকে যেমন তেলের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়, অন্যদিকে জমিতে জৈব সারের ঘাটতি পূরণে বিরাট ভূমিকা রাখে। বিষ্ণুপুর উপ—সহকারী কৃষি অফিসার মাহাফুজুর রহমান জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি কৃষকরা সরিষা চাষে লাভবান হবেন। এদিকে বিষ্ণপুরে বিভিন্ন এলাকার মাঠে সরিষার আবাদ শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। এলাকায় পুরোদমে ফুল ফুটতে শুরু করেছে।