এফএনএস: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে উত্তরাঞ্চলসহ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা আবার কমেছে। একদিনের ব্যবধানে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বেড়েছে। তবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে। গত বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভ‚ত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং এ ছাড়া দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এসময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে শাহীনুল ইসলাম বলেন, আগামী দুই দিন পর রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমে বেড়েছে শীতের মাত্রা। এতে করে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষরা। তারা খড়কুটো জ¦ালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সপ্তাহজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে উঠানামা করছিল। তবে গত বুধবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো এলাকা। একই সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। কুয়াশার কারণে প্রতিদিন সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত হেড লাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। কনকনে শীতের সঙ্গে দুর্ভোগ বেড়েছে রিকশা-ভ্যানচালক আর খেটে খাওয়া মানুষদের। বিশেষ করে ভোর থেকে মাঠে কাজ করা শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেশি। কয়েক দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার রামেরডাংগা মহলার ইজিবাইকচালক শহিদুল বলেন, প্রতিদিন বিকেল থেকে শীত শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকে বাতাস আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় এলাকা। সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত কিছু দেখা যায় না। এমন শীতে আমাদের রোজগার কমে যায়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন বলেন, কয়েকদিন ধরেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আমাদের এলাকায় প্রতি বছর ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ দেখা দেয়। আমরা সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি শীতবস্ত্র বিতরণসহ সহায়তা করে যাচ্ছি।