শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ অপরাহ্ন

সলোমন দ্বীপপুঞ্জে সামরিক স¤প্রসারণ বাড়িয়েছে চীন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

এফএনএস বিদেশ : চীনের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সরকার। এ বছরের ১৪ এপ্রিল ওই চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয় বেইজিং। স্বাক্ষরিত এই নিরাপত্তা চুক্তি পশ্চিমের বিরোধিতা সত্তে¡ও চীনা সামরিক বাহিনীকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশের জন্য একটি নৌপথ খুলে দেবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন। চীনের অর্থায়নে সলোমন দ্বীপপুঞ্জে নির্মিত হয়েছে ন্যাশনাল স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স। জানা গেছে, এই কমপ্লেক্স তৈরিতে ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার খরচ হয়েছে। ২০২৩ সালে এই কমপ্লেক্সেই প্রথমবারের মতো প্যাসিফিক গেমস আয়োজন করবে দেশটি। চীনের সঙ্গে করা এ চুক্তির একটি খসড়া গত মাসে ফাঁস হলে পুরো অঞ্চলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে খসড়ায় সলোমন দ্বীপপুঞ্জে চীনের নৌবাহিনী মোতায়েনের কথা থাকায় বিষয়টি এত গুরুত্ব পায়। চুক্তিটি ঠেকাতে ক‚টনৈতিক দৌড়ঝাঁপ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। সলোমন থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব দুই হাজার কিলোমিটারের কম। অস্ট্রেলিয়া আশঙ্কা করছে যে, তাদের সীমান্তের অদূরে একটি চীনা সামরিক ঘাঁটি “অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট হুমকি হবে”, রয় বলেছেন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা চুক্তির কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং জাপানের মন্ত্রিপরিষদের প্রধান সচিব বলেছেন, এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে বিপর্যস্ত করতে পারে। হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে চীনকে “অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে সামান্যতম পরামর্শ ছাড়াই রহস্যজনক ও অস্পষ্ট চুক্তির প্রস্তাব” করার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ বলেছেন, সলোমনের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা অন্য কোনো পক্ষকে লক্ষ্য করে করা হয়নি। “প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো যেমন সলোমন দ্বীপপুঞ্জ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি করতে পারে, তেমনি তাদের অন্য দেশের সঙ্গেও চুক্তি করার অধিকার আছে”, এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সকলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে. চীন-সলোমন চুক্তি বেইজিংয়ের বছরের পর বছর ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টার পরে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বল্প জনবহুল এবং প্রায়শই দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে চীনা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পথ সুগম করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com