বাংলাদেশে এসে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এবার টি—টোয়েন্টি সিরিজ দাপুটে জয়ে শুরু করল আয়ারল্যান্ড নারী দল। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ১৭০ রানের টার্গেট দিয়ে আইরিশ মেয়েরা ম্যাচ জিতল ১২ রানে। জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে ১৮ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট বল হাতে এসে জোড়া উইকেট মেডেন নেন। ফলে শেষ ৬ বলেও তাই দরকার হয় ১৮ রানের। শারমিন আক্তার সুপ্তা অপরাজিত থেকেও দলকে জেতাতে পারেননি। শেষপর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে। ১৭০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দিলারা আক্তার, সুবহানা মুস্তারির ওপেনিং জুটিতে উড়ন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে আসে ৫৬ রান। দলীয় ১০০ রান পূর্ণ হয় ১১.১ ওভারে। তবে এমন দারুণ শুরুর পরও ১০৩ রান থেকে ১১০ পর্যন্ত যেতে টাইগ্রেসরা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। দুই ওপেনারের একজনও পাননি ফিফটির দেখা। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে সুবহানার বিদায়ে ভাঙে ১০৩ রানের জুটি। তিনে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। আরেক ওপেনার দিলার খুব কাছে থেকে ৪৯ রানে হারান উইকেট। তাজ নেহার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৩ চারে ১৪ বলে করেন ১৯ রান। শারমিন আক্তার সুপ্তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশ থাকে জয়ের পথেই। তবে শেষ দুই ওভারের নাটকীয়তাই বাংলাদেশ ম্যাচ হারল ১২ রানে। ১৩ বলে ২৩ রানের ক্যামিও খেলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন শারমিন। এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানান আইরিশ অধিনায়ক গ্যাবি লুইস। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৬৯ রান। তবে ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার ১০ রান করা এমি হান্টারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। তবে অধিনায়ক গ্যাবি লুইস ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন। তাকে সঙ্গ দেওয়া লেহ পল অবশ্য ফিফটি পূর্ণ করেন থাকেন অপরাজিত। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন লুইস। হার—না—মানা ৭৯ রানের ইনিংস খেলা লেহ পলের ব্যাট থেকে আসে ১০ চার ও ২ ছক্কা। বল হাতে বাংলাদেশের কেউই খুব একটা বিপাকে ফেলতে পারেননি আইরিশ ব্যাটারদের। জাহানারা আলম, ফারিহা তৃষ্ণা, নাহিদা আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌস একটি করে উইকেট শিকার করেন।