কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারন করায় সাংবাদিক খান নাজমুল হুসাইনকে মারপিট করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে কলারোয়া থানায় এ মামলা হয়। যার নং- ৯, তারিখ-৬/৫/২০২২ ইং। মামলার আসামীরা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘরচালা গ্রামের মৃত রশিদ মোল্যার ছেলে মিলন মোল্যা (৩৫), একই গ্রামের লতিফ মোড়লের ছেলে লাল্টু মোড়ল (৩০) এবং কলারোয়া উপজেলার কাসিয়াডাংগা গ্রামের শহিদুল ইসলাম সরদারের ছেলে কামাল সরদার (৩২)। মামলার বিবরণে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটি মোস্তাকের মৎস্য ঘের হতে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মিলন মোল্যা, লাল্টু মোড়ল ও কামাল সরদার বালু উত্তোলন করছে। এরই জের ধরে গত ২ মে দুপুর ২ ঘটিকায় সাংবাদিক নাজমুল খান তথ্য সংগ্রহের নিমিত্তে ঘটনা স্থলে পৌছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেন। এ সময় পুুর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা ওই ব্যক্তিরা ক্যামেরায় তোলা ছবি ডিলেট করতে বলেন। উক্ত প্রস্তাবে সাংবাদিক নাজমুল রাজি না হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায় নাজমুলের ক্যামেরা ম্যান কামরুল ইসলমের কাছ থেকে জোর পুর্বক ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাটি সোটা দিয়ে খান নাজমুল ও কামরুল বেধড়ক মারপিঠ করে। এমনকি সাংবাদিক নাজমুলের গলায় ঝুলিয়ে রাখা পত্রিকার পরিচয় পত্র কেড়ে নেয়। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে পাশে থাকা লোকজন ছুটে আসলে মিলন মোল্যা, লাল্টু মোড়ল ও কামাল সরদার সাংবাদিক নাজমুলকে উদ্দেশ্য করে জীবন নাশের হুমকি সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে আহত সাংবাদিক খান নাজমুল ও তার ক্যামেরা ম্যান কামরুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় খুলনা হতে প্রকাশিত দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক নাজমুল বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। পরে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন নিজেই সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ওসি নাসির উদ্দীন নিশ্চিত করে বলেন, সাংবাদিক লাঞ্চিত করার ঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে পাশাপাশি আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।