এফএনএস স্পোর্টস: তৃতীয় বারের মতো টেস্ট নেতৃত্বে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। মুমিনুল হক স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছাড়ার পর লাল বলে এই অলরাউন্ডারের ওপর আবারও দায়িত্ব চেপেছে। যেহেতু এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সাফল্য খুব বেশি নয়। তাই সাফল্য পেতে হলে অধিনায়ক সাকিবকে সময় দিতে হবে বলে মনে করেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গত দুইবার সাকিবের নেতৃত্বে মোট ১৪ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে জয় ছিল তিনটিতে, হার ১১টি। মুমিনুলের নেতৃত্বে খেলা ১৭ টেস্টেও জয় তিনটি, ড্র দুটি ও হার ১১টি। তবে মুমিনুলের হাত ধরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়টি এসেছে। রোববার মোবাইল অপারেটর রবির অনুষ্ঠানে তামিম অধিনায়কত্ব নিয়ে বলেছেন, ‘আমি ওর অধিনায়কত্বে দুইবার খেলেছি। আসলে বিষয়টা রকেট সাইন্স না। আমরা সবাই জানি ওর দারুণ ক্রিকেট মতিষ্ক। আর টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করাও সহজ নয়। এই একটা ফরম্যাট, যেখানে ফল আমাদের পক্ষে কম আছে। আমি অধিনায়কত্ব পেয়ে বলেছিলাম, আমাকে সময় দিতে হবে। এ মুহূর্তে সাকিবের ব্যাপারেও একই কথা বলবো। তাকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে।’ তামিম মনে করেন সাকিবের নেতৃত্বে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ ভালো দল হয়ে উঠবে, ‘এই একটা ফরম্যাটেই আমরা খুব শক্ত দল হয়ে উঠতে পারিনি। তার অধিনায়কত্ব এবং আমাদের সবার সাপোর্ট থাকলে টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের ভালো ফল আসবে।’ অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিবকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন তামিম? বামহাতি ওপেনার বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট নেই। আমি যতদূর জানি ওখানে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি আছে। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, কে যাচ্ছে আর কে যাচ্ছে না। অধিনায়কত্ব নিয়ে আপনি যেটা বললেন পুরোটাই বোর্ডের হাতে। কাকে দিবে, কাকে তারা রাইট মনে করবে। এখানে আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।’ সবমিলিয়ে সাকিব তৃতীয়বার টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেলেন। প্রথমবার ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চোটে পড়লে তিনি দায়িত্ব পান। ওই দফায় সাকিব ১৩ মাস দায়িত্ব পালন করেন টেস্ট দলের। সেবার ৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডার জেতেন একটিতে। এরপর ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট ম্যাচ হারলে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। দ্বিতীয় দফায় সাকিব দায়িত্ব পান ২০১৭ সালের ডিসেম্বর। সেবার টেস্টের পাশাপাশি তার কাঁধে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বভারও তুলে দেওয়া হয়। এই সময় তার অধিনায়কত্বে পাঁচ টেস্টে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ, হেরে যায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি।