রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পাকিস্তানে এবার সাইবার হামলার তৎপরতা, প্রথম পদক্ষেপে ব্যর্থ ভারতীয় হ্যাকাররা ভারত-পাকিস্তানকে সংযমী হওয়ার আহŸান চীনের গাজার বাসিন্দাদের কাছে অবিলম্বে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে হবে : রেড ক্রস ২০২৭ সালের মধ্যে রুশ গ্যাস আমদানি বন্ধের প্রস্তাব ইইউ’র আজ মস্কোতে পুতিন-শি বৈঠক, আলোচনা হবে ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে রাশিয়ার ঐতিহাসিক বিজয় দিবস প্যারেডে থাকবেন শি ও লুলাসহ ২৯ বিদেশি নেতা গাজায় ইসরাইলের অভিযানের বিরোধিতা চীনের রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার যুদ্ধের প্রভাবে অনিশ্চিত বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ পাকিস্তানে নিরাপদেই আছেন নাহিদ-রিশাদ

সাগরের উষ্ণতার নতুন রেকর্ড, বিশ্বজুড়ে বাড়ছে বৈরি আবহাওয়া

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস বিদেশ: গবেষকরা বলছেন, তারা হঠাৎ করেই বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি দেখতে পাচ্ছেন। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেড়েছে এবং এটি আরো বাড়তে পারে। প্রতি বছর সাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারা বিশ্বে বৈরি আবহাওয়ার ধারা দেখা যাচ্ছে, যার মধ্যে আছে তুমুল বৃষ্টিপাত ও অতিরিক্ত তাপদাহ, যার ফলে বন্যা ও চরম খরার সৃষ্টি হচ্ছে। জলবায়ু বিজ্ঞানীরা উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত তথাকথিত গ্রিনহাউজ গ্যাসকে দায়ী করেন এবং জানান, এর সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণতি ঠেকাতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্মভিত্তিক জ¦ালানির ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। সা¤প্রতিকতম উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্রে গত ১৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ের তাপদাহ দেখা গেছে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা মেট অফিস এই তথ্য জানিয়েছে। পৃথিবীর ৭০ ভাগ অংশজুড়ে আছে সমুদ্র, যা আবহাওয়ার ওপর বড় প্রভাব ফেলে। আর্থ সিস্টেম সায়েন্স ডাটা জার্নালে এপ্রিলে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় সতর্ক করা হয়, আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি দ্রæত গতিতে সমুদ্রগুলো উষ্ণ হচ্ছে। যার ফলে বৈরি আবহাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও সামুদ্রিক ইকো সিস্টেম ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকি আরো বেড়েছে। এমন কী, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকতে পারে, যার মধ্যে আছে প্রবালের রঙ বদলে যাওয়া ও আরো তীব্রতর হারিকেন ঝড়ের সূত্রপাত। ইতোমধ্যে গুরুতর পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে এল নিনো সৃষ্টি হওয়ায়। এটি বছরের পরবর্তী অংশে আরো বৈরি আবহাওয়ার জন্ম দিতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরের কেন্দ্রীয় ও পূর্ব অঞ্চলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধিকে এল নিনো বলা হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে এল নিনো তৈরি হয়নি, কিন্তু এর কারণে এর তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com